বহরমপুর : বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। সকাল ১০:৪০ মিনিটে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (MMCH) ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। প্রথমে এমার্জেন্সিতে আর তারপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিউতে (ICU) ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি সাগরদিঘির বিধায়ক ছিলেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ জানিয়েছেন, ১১.০২ মিনিটে মন্ত্রী (Minister) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা (Doctor) যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অ্যাকিউট ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে আর ফেরানো যায়নি।
রাজ্যের খাদ্য-প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত সাহা। তিনি মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হওয়া প্রথম বিধায়ক। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় তিনি ২০১১ সালে তৃণমূলের (AITC) প্রতীকে জয়ী হন সাগরদিঘি কেন্দ্র থেকে। দলের জেলা সভাপতিও ছিলেন একসময়।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতায় সুব্রতবাবুর গলব্লাডার অপারেশন হয়। বুধবার সকালেই সুস্থ হয়ে তিনি জেলায় ফিরেছিলেন। কিন্তু রাতে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তাঁকে বহরমপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
পরপর তিনবার সাগরদিঘি (Sagardighi) কেন্দ্র থেকে বিধায়ক (MLA) নির্বাচিত হয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন বেশ কিছুদিন। জেলার রাজনৈতিক সমীকরণে নানা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যেও নিজের জায়গাটি বজায় রাখতে পেরেছিলেন একসময় জেলা কংগ্রেসের এই প্রথম সারির নেতা।
মুখ্যমন্ত্রী শোক বার্তায় জানিয়েছন, সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুব্রত সাহার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।