নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেটে তথা বিশ্ব ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) অবদান অনস্বীকার্য। সচিনের অবসরের পর কেটে গিয়েছে এক দশক। কিন্তু এখনও তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অবসরের পর নানা সামাজিক কাজে নিজেকে লিপ্ত রেখেছেন। ভারতরত্নও পেয়েছেন। এবার তাঁকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বুধবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় আইকন’ হিসাবে কাজ করবেন সচীন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখপত্রের টুইটারে এই খবর জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘মাস্টার ব্লাস্টার্স, ক্রিকেট কিংবদন্তি এবং ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত সচিন তেন্ডুলকর তাঁর জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন নির্বাচন কমিশনের জাতীয় আইকন হিসাবে।’ বুধবার, ২৩ অগাস্ট রাজধানী নয়াদিল্লির রং ভবন অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানেই তাঁকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সেখানেই তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করবেন। তিন বছরের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে দেখা যাবে সচিনকে। এই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের প্রধান শ্রী রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার শ্রী অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে এবং শ্রী অরুণ গোয়েল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন:ইডেনে কবে আনা হবে বিশ্বকাপ ট্রফি? জানতে পড়ুন
মূলত, শহরাঞ্চলের ভোটার এবং যুব সমাজকে ভোটদানের প্রতি আরও বেশি করে উৎসাহিত করে তুলতে সচিন তেন্ডুলকরকে কাজে লাগাতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে ভোটদানের হার অনেকটাই কম। বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন ভোটের পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। সেই পরিসংখ্যানেই এবার বদল আনতে সচিন তেন্ডুলকরের সাহায্য নিতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন মনে করছে, ভোটারদের হার বাড়াতে সচিনের মতো বিখ্যাত তারকার উপস্থিতিই চিত্রটা বদলে দিতে পারে।
যদিও, সচিন প্রথম নন এর আগেও নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একাধিক নামী দামি তারকাকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় আইকন ছিলেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, মেরি কম ও অভিনেতা আমির খানকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।