নয়াদিল্লি: বীর সাভারকর (VD Savarkar) সম্পর্কে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মন্তব্য নিয়ে দেশের হিন্দুত্ববাদী (Hindutva) দলগুলি খড়্গহস্ত। কংগ্রেসের জোট শরিক শিবসেনার দুই গোষ্ঠীও রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করেছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্বে যে যে নেতা আজও বিতর্কের কক্ষপথে ঘুরপাক খাচ্ছেন, তাঁদের মধ্য বিনায়ক দামোদর সাভারকর একজন। বিভিন্ন বিষয়ে সাভারকরের কট্টরপন্থী মনোভাব বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আন্দামানের সেলুলার জেল থেকে ব্রিটিশ সরকারকে লেখা তাঁর একাধিক চিঠি, সাভারকরের স্বঘোষিত বীর খেতাবেরও পরিপন্থী। তবে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রয়েছে তাঁর হিন্দুত্ববাদ।
১৯২৩ সালে সাভারকরের লেখা ‘এসেনসিয়ালস অফ হিন্দুত্ব’ (Essentials Of Hindutva) গ্রন্থে তিনি কট্টর হিন্দুত্ববাদের কথা তুলে ধরেন। কী রয়েছে তাঁর সেই বইয়ে, জানেন কী? দেখা যাক সাভারকরের দৃষ্টিভঙ্গিতে হিন্দুত্বের সংজ্ঞা ও স্বরূপ কী?
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের নিয়োগের তথ্য তলব করল সিবিআই, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ চিঠি দিল জেলার স্কুল পরিদর্শকদের
সাভারকরের মতে, হিন্দুত্ব কেবলমাত্র একটি শব্দ নয়। শুধুমাত্র ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক ইতিবাস নয়। একটা ইতিহাস। হিন্দুবাদ হল হিন্দুত্বের একটি খণ্ডাংশ, টুকরো মাত্র। সাভারকরের মতে, রামের সিংহল জয়ে সম্পূর্ণ হয় হিন্দু জনতার প্রকৃত জন্ম। আর্য সভ্যতার ইতিহাস তুলে ধরে সাভারকর লিখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সপ্তসিন্ধুর সভ্যতার বিকাশ ঘটে। আর্যরা ছড়িয়ে পড়ে ভারত জুড়ে। তাদেরই কেউ কুরু, কাশী, বিদেহ কিংবা মগধ হয়ে প্রচার পায় এবং সিন্ধু অথবা হিন্দু নামটি ধীরে ধীরে মুছে যায়। অযোধ্যার যুবরাজ রামের সিংহল দখল হল হিমালয় থেকে সাগর পর্যন্ত সার্বভৌম রাজ্যের জন্ম।
তিনি আরও লিখেছেন, যেদিন অশ্বমেধের রথের ঘোড়া বিনাবাধায় অযোধ্যায় (Ayodhya) ফিরে এল, সার্বভৌম রাজার শ্বেতছত্র ধরা হলে রামচন্দ্রের রাজ সিংহাসনের মাথায় সেদিনই আমাদের হিন্দু জাতির জন্ম হল। বীর রামচন্দ্র ও তাঁর আর্যকন্যা স্ত্রী কেবলমাত্র নয়, এই রাজ্যের অংশীদার হল হনুমান, সুগ্রীব, বিভীষণের মতো দক্ষিণ রাজ্যের শাসকরাও। সেটাই আমাদের সত্যকারের জাতীয় দিবস। আর্য ও অনার্য মিলে এক রাষ্ট্রের জন্ম দেয় সেদিন।