ময়নাগুড়ি: দুই কামতাপুরি সংগঠনের ডাকে যৌথ ভাবে রেল অবরোধের (Rail Blockade) জেরে সকাল থেকেই অচলাবস্থা উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আলাদা রাজ্যের দাবিতে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে রেল অবরোধ শুরু হয়। ওইদিন ভোর থেকে নিউ ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনের (Rail Station) পাঁচশো মিটার আগে এই অবরোধ শুরু হয়। উত্তরবঙ্গ জুড়ে ওই ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার থমকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
নিখিল রায়ের কামতাপুর পিপলস পার্টি (ইউনাইটেড)এবং প্রয়াত অতুল রায়ের ছেলের কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির যৌথ মঞ্চ কামতাপুর রাজ্য দাবি আদায় ফোরামের তরফ থেকে নিউ ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনে মঙ্গলবার এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। এদিন প্রথমে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Express Train) আটকে দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে যায় একাধিক ট্রেন। রেল অবরোধ তুলতে পুলিশের তরফ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
একইরকম ভাবে জেলা পুলিশের তরফ থেকেও প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ ময়নাগুড়িতে (Mayanagudi) নিয়ে আসা হয়। নামানো হয় র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স (Combat Force)। এদিন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অমিত রায় জানান, আলাদা রাজ্যের দাবিতে এই অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও অন্যান্য এক্সপ্রেস ট্রেনের পাসাপাশি বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে মালগাড়ি। ট্রেন চলাচলে বিঘ্নের কারণে প্রবল অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা (Passengers)। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একাধিক স্টেশনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কেপিপির আন্দোলনের জেরে আলতাগ্রাম স্টেশনে আটকে পড়ে মালগাড়ি।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি স্টেশনে রেল রোকো কর্মসূচি নিয়ে সকাল থেকেই ভিড় জমান আন্দোলনকারীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সকাল থেকে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অনেকে স্টেশনে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হন। বাকি যাত্রীদের অনেকে বাস ধরে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা চালান।