ঝজ্জর (হরিয়ানা): সাতসকালে কুস্তিগিরদের (Wrestlers) আখড়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার সকালে আচমকাই কংগ্রেস এমপি পৌঁছে যান হরিয়ানার (Haryana) ঝজ্জর জেলার বাহাদুরগড়ের ছড়া গ্রামে। এই গ্রামই ভারতীয় কুস্তিগিরদের আঁতুড়ঘর এবং সেনাকর্মী নায়েব সুবেদার দীপক পুনিয়ার জন্মভিটে। এদিন ভোরে রাহুল সেখানে গিয়ে বীরেন্দ্র আখড়ার কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মন দিয়ে শোনেন।
বজরং পুনিয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গ্রামের ছেলে তথা ২০২২ সালে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী দীপক পুনিয়ার সঙ্গেও কথা বলেন রাহুল। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন নিয়ে যখন বিতর্ক বহমান, তখন রাহুল গান্ধীর সশরীরে আখড়ায় গিয়ে দেখা করার রাজনৈতিক তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: বিজেপির কেন্দ্রীয় পদ থেকে সরানো হল অনুপমকে
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে খেলরত্ন এবং অর্জুন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করতে চান বিনেশ ফোগট। তাঁকে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় কুস্তিতে নেমে এল অকাল বৈধব্য। প্রথমে সাক্ষী মালিক কুস্তি থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন। তারপর বজরং পুনিয়া পদ্মশ্রী ফেরত দেন। ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে এই তিনজনই কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়াই করেছিলেন।
বিজেপি এমপি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। এর পর তাঁরই ডানহাত সঞ্জয় সিং জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। যদিও বৃহস্পতিবারের ওই ফলাফলের পর রবিবার ক্রীড়া মন্ত্রক গোটা প্যানেলটাই নাকচ করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মঙ্গলবার আবেগঘন খোলা চিঠিতে ফোগট লিখেছেন, মহিলা কুস্তিগিররা কি কেবল সরকারি বিজ্ঞাপনের মুখ হওয়ার জন্য জন্মেছেন। কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী তারকা বলেছেন, তিনি খেলরত্ন এবং অর্জুন পুরস্কার ফেরত দিচ্ছেন। কারণ সম্মানের সঙ্গে জীবনধারণের পথে এগুলি বোঝা হয়ে দাঁড়াক তা তিনি চান না। ফোগট আরও লিখেছেন, পদক জিতলে কুস্তিগিররা দেশের গর্বের বিষয়ে হন। আর এখন তাঁরা বিচার চাইছেন বলে তাঁদেরই দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন