কলকাতা: রাজ্যপালের নির্দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাযার্য নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করা হল আদালতে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজভবন ১১ উপাচার্যকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। মামলায় যুক্ত করা হয়েছে আচার্য তথা রাজপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য সরকারকেও। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে ১১ জন উপাচর্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তাঁদের মান্যতা দেয়নি রাজ্য সরকার। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সে কথা সাফ জানিয়ে দেন। তিনি রাজভবনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন। ব্রাত্য দাবি করেন, উপাচর্যদের নিয়োগ সম্পর্কিত কোনও আলোচনা রাজভবনের সঙ্গে হয়নি রাজ্য সরকারের। এমনকী রাজভবনের সব বক্তব্যকে মিথ্যে বলে অভিযোগ করেন ব্রাত্য।
আরও পড়ুন: Adrit Roy | Chanchal Chowdhury | চঞ্চলে তন্ময় আদৃত
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন রাজ্যপাল জকদীপ ধনখড়ের সময় নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে সুমধুর সম্পর্ক না থাকলেও বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন প্রথমদিকে কলকাতা আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে নবান্নে সুমধুর সম্পর্কের ছবি দেখতে পেয়েছে রাজ্যবাসী। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্যে বার্তা দিয়ে একাধিকবার একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল বর্তমান রাজ্যপালকে। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। তবে রাজ্য সরকারের মতামত ছাড়া ১১ জন উপাচার্যের নিয়োগের ঘটনা সেই দূরত্বটাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।