কলকাতা: ভবানীপুরের বিজেপি (BJP) প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে (Priyanka Tibrewal) নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে৷ প্রিয়াঙ্কার দাবি, ‘তৃণমূল আমার নামে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে৷ বলা হয়েছে, আমি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন অনেক লোক নিয়ে গিয়েছিলাম৷ আসলে এগুলো ওদের কৌশল৷ এভাবে নালিশ জানিয়ে আমার প্রচারে বাধা দিতে চাইছে৷ ভয় পেয়েছে বলেই এধরণের নালিশ জানিয়েছে৷’ পাল্টা তৃণমূলের (TMC) বক্তব্য, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ভবানীপুরের প্রার্থীর সঙ্গেই ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং এবং দীনেশ ত্রিবেদীর মত নেতারা৷ যাঁরা কেউ ভবানীপুরের বাসিন্দা নয়৷’
ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী বিতর্কে জড়ালেন। ১৩ সেপ্টেম্বর আলিপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান প্রিয়াঙ্কা। ওই সময় তিনি কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ। কমিশনের পাঠানো চিঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে তাঁর জবাব চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে শো-কজের জবাব দিতে হবে। নোটিসে বলা হয়েছে, তিনি কোভিড আইন ভেঙে বেআইনি জমায়েত করেছেন। ভবানীপুর কেন্দ্রের রির্টানিং অফিসার বুধবারই ওই নোটিস পাঠান বিজেপি প্রার্থীকে। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ভবানীপুর কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: আদালতে স্বস্তি রাজ্যের, বন্ধ হচ্ছে না দুয়ারে রেশন প্রকল্প
নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কলকাতা টিভির ডিজিটাল পেজ বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রিয়াঙ্কা জানান, ‘নির্বাচন কমিশন আমাকে চিঠি পাঠিয়েছে, যেহেতু তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে। বলা হয়েছে, নমিনেশন জমার সময় আমি অনেক লোক নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেক ভিড় হয়ে গিয়েছিল। কোভিড নিয়ম আমি মানিনি। আমার যা জবাব দেওয়ার তা দেব।’ ১৩ সেপ্টেম্বর আলিপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বহু বিজেপি নেতাকেই দেখা গিয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী, অর্জুন সিংয়ের মতো নেতাদের। সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও ছিলেন। এই নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রিয়াঙ্কার দাবি, ‘শুভেন্দু অধিকারী ওই দিন আমার গাড়িতেই ছিলেন। আলাদা গাড়ি ছিল না। এ ছাড়া দীনেশ ত্রিবেদী বা অর্জুন সিংয়ের গাড়ি আমার সঙ্গে ছিল না। ওরা সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অফিসে পৌঁছয়। আমি কোনও কনভয় নিয়ে বেরোইনি। রাস্তায় যে গাড়ি চলছে তার দায়িত্ব কি আমার? আর ঝান্ডা নিয়ে কথা বলছে কোনও গাড়িতে ফ্ল্যাগ ছিল না। আমার গাড়িতে অন্তত ফ্ল্যাগ ছিল না। বাইকে কারা ঘুরছে রাস্তায় ওটা দেখা আমার দায়িত্ব না। রাস্তায় কেউ থাকলে তাকে সরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। আসলে তৃণমূলের কৌশল হচ্ছে এই ভাবে নালিশ জানিয়ে আমার প্রচারকে আটকে দেওয়া। তৃণমূল ভয় পেয়েছে, তাই আমার প্রচার আটকাতে চাইছে।’
আরও পড়ুন: চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক স্থানান্তরিত মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের
কলকাতা টিভির ডিজিটাল পেজ যোগাযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। দলের নেতা তাপস রায়ের বক্তব্য, ‘এরা কোনও নিয়ম নীতির ধার ধারে না। মানেও না। শুধু বড় বড় কথা বলতে জানে। নিজে আবার আইনজীবী। তারপরে আবার যাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল, তাঁরা কেউই ভবানীপুরের নয়। ভবানীপুরের ভোটারও নয়। এমনকি কলকাতারও ভোটার না অনেকে।’