কলকাতা: অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের মন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে নভেম্বর মাসে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কারণে খালি হয়েছে সেই দফতর। এছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী একাধিক দফতর সামলাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সম্প্রতি চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের উদয়ন গুহ, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মণ্ডল এবং ব্রজকিশোর গোস্বামী। নবনির্বাচিত বিধায়করা মঙ্গলবার শপথ নেবেন। ওই দিন বিকেল ৩টেয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই রদবদলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন মন্ত্রীরা কবে শপথ নেবেন, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা হিংসায় ১০২টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে UAPA মামলা
সূত্রের খবর, নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে থেকে দু’একজন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। রেকর্ড ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উদয়নকে মন্ত্রী করলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবেন মমতা। একদিকে যেমন মন্ত্রিসভায় উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে, ঠিক তেমনই রেকর্ড ভোটে জেতার পুরস্কারও দেওয়া যাবে।
শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীও মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। এই কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হেরেছিল ঘাসফুল শিবির। উপনির্বাচনে শান্তিপুরে জোড়াফুল ফুটিয়েছেন ব্রজকিশোর। ৬০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু থাকবে, দাবি খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের
বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ায় খারাপ ফল করেছিল তৃণমূল। মতুয়া অধ্যুষিত এই জেলায় বেশ কয়েকটি আসনে পেয়েছিল বিজেপি। তার আগে লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট আসন হারাতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীকে ক্যাবিনেটে স্থান দিতে পারেন মমতা।
সদ্য প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত দফতর সামলেছেন। তার আমলে একাধিকবার ১০০দিনের কাজে দেশের সেরা হয়েছে বাংলা। সুব্রতবাবুর জায়গায় অভিজ্ঞ কোনও মুখকে আনতে পারেন মমতা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান মন্ত্রিসভায় দুই সদস্য।
আরও পড়ুন: একাধিক রাজ্য জ্বালানিতে ভ্যাট কমিয়েছে, বাংলা এক টাকাও না, নবান্নকে নিশানা দিলীপের
অর্থ দফতর নিজের হাতেই রাখতে পারেন মমতা। সূত্রের খবর, পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েই অর্থ দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে অমিত মিত্রকে কাজে লাগাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিতের মন্ত্রিত্বের সময়সীমা শেষ হচ্ছে নভেম্বর মাসে। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অর্থমন্ত্রী রয়েছেন অমিত মিত্র। আর্থিক সমস্যার মধ্যেও সরকারি প্রকল্পগুলি চালু রেখেছেন তিনি।