কলকাতা: ১৯৮১। বিশ্ববাসী চমকে উঠলেন তাঁকে দেখে। তিনি কর্পোরাল লুই ফার্নান্ডেজ। থুড়ি পেলে (Pele)। তার আগে কলকাতার মাঠে বিশ্বতারকাকে দেখে ফেলেছেন বাঙালি। তারপর ‘এসকেপ টু ভিক্টরি’ (Escape to Victory) নামে ইংরেজি সিনেমার পর্দায় সম্রাটকে জার্মানির ক্যাম্পে যুদ্ধবন্দি অবস্থায় দেখা গেল। ঠিক তাই, শুধু ফুটবল মাঠ বা জুলে রিমে কাপে চুম্বনরত পেলে নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত ছবিতেও পেলে। শুধু এই একটা নয়, আরও বেশ কয়েকটা সিনেমায়, সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি।
‘এসকেপ টু ভিক্টরি’তে তাঁর সহ অভিনেতারা ছিলেন প্রায় সকলেই বড় বড় তারকা। ছিলেন হলিউডখ্যাত সিলভেস্টার স্ট্যালোন (Sylvester Stallone), মাইকেল কেইন (Michael Caine), ফুটবলারদের মধ্যে ববি মুর (Bobby Moore), ওসভালদো আর্দেলিস, কাজমিয়েরেজ ডেয়না, বেলজিয়ান ফুটবলার পল ফন হিমস্ট, মাইক সমারবি প্রমুখ। সিনেমায় মিত্রশক্তির যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে জার্মান টিমের একটি খেলাকে কেন্দ্র করে গল্প এগিয়ে চলে। অসম প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেও মিত্রশক্তির জয় এবং বন্দিত্ব থেকে মুক্তিই ছিল মূল কাহিনি।
আরও পড়ুন: Pelé: পেলে: ফুটবলের বাইরে ‘সম্রাটের’ রাজনৈতিক অবস্থান নিন্দা কুড়িয়েছিল দেশে
তাঁর অভিনীত অন্যান্য ছবির বেশিরভাগই লাতিন আমেরিকান। যেমন ১৯৭১ সালের বারাও ওতেলো নো বারাতো বিলহোজ, পরের বছর আ মার্সা, ১৯৮৫ সালে এ মাইনর মিরাকল, পরের বছর ও ত্রাপোলহোস ও রেই দো ফুতবল, ওই বছরই হটশট, ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানেজার ভূমিকায় অভিনীত ছবির নাম মাইক ব্যাসেত ইংল্যান্ড ম্যানেজার। বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজ এবং ডকুমেন্টারি ছবিতেও কাজ করেছেন পেলে। ২০২১ সালের সর্বশেষ ডকুমেন্টারি হল ‘পেলে’।