আলিপুরদুয়ার: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) যতই সামনে আসছে, রাজ্য জুড়ে ততই বাড়ছে দলবদলের হিড়িক। শাসক থেকে বিরোধী দলে, বিরোধী থেকে শাসকদলে যাতায়াত লেগেই রয়েছে। সেই আঁচ থেকে বাঁচতে পারল না উত্তরবঙ্গও। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে দলের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দেবনাথের হাত ধরে বুধবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন কালচিনি ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি পাসাং লামা (Pasang Lama)।
এদিন পাসাংয়ের সঙ্গে দুই পঞ্চায়েত প্রধান, ২১ জন পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির তিন সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর একাধিক অভিযোগে পাসাং লামাকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসেবে আগামিকাল মনোনয়ন জমা দেবেন পাসাং লামা।
কংগ্রেসের যোগদানের পর পাসাং বলেন, আমার বিষয়ে সবাই সব জানে। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার লড়ে আমরা তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েতে জিতেছিলাম। আমি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতে কাজ করেছি। পুরো বাংলা আমার পরিবার। জেলা পরিষদে আমার ভাগনি দাঁড়াচ্ছে। দল আমাকে যেখানে দাঁড় করাবে সেখানে দাঁড়াব। দলের কথা শুনেই কাজ করব। কাজ করার জন্য আমাদের কোনও পদ লাগবে না। জঙ্গলের আশীর্বাদে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এর থেকে বেশি আমি কিছু বলব না। তৃণমূলে আমার বিরোধী থাকলেও শুভানুধ্যায়ীরাও রয়েছেন। সাড়ে চার মাস আমি জেল খেটেছিলাম। তৃণমূল বদলা নয়, বদল চাই স্লোগান তুলেছিল। কিন্তু এখন কংগ্রেসের হয়ে মানুষের কাছে গিয়ে কাজ করব। আমরা চাই আজ হোক বা ছমাস পর, আলিপুরদুয়ারে ১ লাখ লোক নিয়ে দলের সমাবেশ করতে।
আরও পড়ুন:Panchayat Election | বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে
কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, জন্মলগ্ন থেকে যাঁরা তৃণমূল করে আসছেন, তাঁরাই আজ দলে ব্রাত্য, কোনও সম্মান পাচ্ছেন না। সেই কারণে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে আসছেন। এরা সকলেই একসময় কংগ্রেসে ছিলেন। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে আসার জোয়ার দেখা দিচ্ছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদে গত কয়েকদিনে বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারেও সেই ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। আগামিদিনে আরও অনেকে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন।