কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর অবশ্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত দু-এক সপ্তাহ ধরে রাজ্য রাজনীতির আনাচে কানাচে বহুল চর্চিত নাম। অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কমবেশি ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি সোনা বিদেশি মুদ্রা।
ইডি সূত্রে খবর, ডায়মন্ড সিটি থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি গাড়ি। গাড়িগুলির মধ্যে রয়েছে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, একটি হন্ডা সিটি এবং একটি হন্ডা সিআরভিও। যদিও এর মধ্যে দুটি গাড়ি এখনও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটিতে অর্পিতার এই আবাসনেই প্রথম তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার এই ফ্ল্যাটেই ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়না উদ্ধার করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। পাওয়া গিয়েছিল শিক্ষা দফতরের কয়েকটি খামও। তার পরে অর্পিতার একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা, জমি, বাড়ি, এবং অন্যান্য সম্পত্তির নথিও।
ইডির তথ্য অনুযায়ী, সোনা এবং হীরের আনুমানিক মূল্য ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা। উদ্ধার হয়েছে শিক্ষা দফতরের ছাপ লাগানো একটি কালো রঙের ডায়েরি। পকেট ডায়েরি। উচ্চশিক্ষা দফতরের খামে ভর্তি টাকা। ২৪টি অতি দামি মোবাইল ফোন। দুটি হার্ড ডিক্স।
বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার পাশাপাশি ৪ কোটি ৩১ লাখের গয়না উদ্ধার হয়েছে। ২০০০ এবং ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিলে এই অর্থ ছিল বেশিরভাগ। ২০০০ টাকার নোটে ৫০ লাখের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ৫০০ টাকার নোটে উদ্ধার হয়েছে ২০ লাখ টাকা। সোনার মধ্যে ৩টি সোনার বাট পাওয়া গিয়েছে, প্রতিটির ওজন এক কেজি এবং ৬টি বালা। তাদের ওজন ৫০০ গ্রাম করে। এছাড়াও অন্যান্য সোনার গয়নার সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে সোনার একটি পেনও। মিলেছে একাধিক বাড়ির দলিল।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বারোটা দলিল, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার কিছু রেজাল্ট, একটি মোবাইল ফোন এবং এক্সটারনাল হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে।
অর্পিতা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ডায়মন্ড সিটি ছাড়াও নয়াবাদ, বালিগঞ্জ, বেলঘড়িয়া, শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ নামে বাগান বাড়ি এবং শান্তিনিকেতনের আরও একটি বাড়ির খোঁজ মিলেছে। ইডি জানিয়েছে, শান্তিনিকেতন নয়াবাদ এবং কলকাতায় তাদের জমি আছে। বেশ কয়েকটি সংস্থার খোঁজ মিলেছে অর্পিতার নামে (জামিরা সানসাইন লিমিটেড, সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড, সিমবায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, ইচ্ছে এনটারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড)। এছাড়াও আছে আটটি সারমেয়।