নয়াদিল্লি: মণিপুর ইস্যুতে সংসদের বাদল অধিবেশনে তৃতীয় দিনেও অশান্ত্ বাদল। বিরোধীদের আইএনডিএ সোমবারও সম্মিলিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিবৃতির দাবিতে ওই হট্টোগোল শুরু করে। প্রথম দফায় সংসদের দুইকক্ষ ১২টা পর্যন্ত মুলতবি হয়ে যায়। ১২টা ফের সভা বসলে চিৎকার চেচাঁমেচিতে দুপুর ২টো পর্যন্ত সংসদের দুইকক্ষই মুলতবি ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। সংসদীয় আচরণ বিধিভঙ্গের জন্য আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং -কে বাদল অধিবেশনে বাকি দিনগুলি থেকে বরখাস্ত করা হল।
মণিপুর ইস্যুতে সকাল থেকে উত্তাল সংসদের দুইকক্ষ। বিরোধী শিবিরকে চাপে রাখতেই এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ দলের প্রায় সব সাংসদকেই হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেল। মণিপুর ইস্যুতে প্রথম থেকেই বিরোধীরা একজোট হয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছে। এদিনও সেই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় ‘ইন্ডিয়া’ জোট শরিকরা।
অন্যদিকে রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সংসদ চত্বরে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বাংলার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, খগেন মুর্মুরাও বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে স্লোগান তোলেন।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court | রাজ্যে আরও দশ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, সম্মতি কলকাতা হাইকোর্টের
দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে মেইতি ও কুকি জাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। কুকি সম্প্রদায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছে। এই নক্কারজনক ঘটনার পর মোদি সরকারের সমালোচনায় বিরোধী দলগুলি সবর হয়েছে। এই ইস্যুতেই ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরের যা ছবি দেখতে পারছি তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রধানমন্ত্রী সংসদের কোনও আলোচনাই চান না। শুধুমাত্র দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছেন। মণিপুরের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে রাজস্থান, বিহার, বাংলার উদাহরণ টানা হচ্ছে। মণিপুরের পরিস্থিতি যদি শান্ত হবে তা হলে ডবল ইঞ্জিনের সরকারে রাজ্যে ইন্টারনে ট বন্ধ কেন। বাংলাতে তিন মাস ধরে ইন্টারনেট চলছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে অধীরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদের বাইরে মুখ খুলেছেন। কিন্তু এটা কোনও প্রথা নয়। উনি সংসদের ভিতরে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলুন। সংসদ ভবনে আলোচনা করুন।