নয়াদিল্লি: প্রবল হাড়কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনতর কুয়াশার জেরে রাজধানী দিল্লির বিমান ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত। প্রায় ১১০টি বিমান উড়ান ও অবতরণে বিপত্তি ঘটে। কারণ ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা শূন্যে গিয়ে ঠেকে। শুধু দিল্লি নয়, গোটা উত্তর ভারত পূর্বাভাস মতোই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। যার ফলে প্রায় ২৫টি দূরপাল্লার ট্রেন অত্যন্ত ধীরগতিতে চলায় দেরিতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে উত্তর রেল।
বুধবার সকালে দিল্লিতে ৫০ মিটারের দূরে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। আবহাওয়া অফিস লাল সতর্কতা জারি ভারী কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল। বড় সড়কগুলি কুয়াশায় ছেয়ে থাকায় বেশ কয়েকটি ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটে। উত্তরপ্রদেশের আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে পরপর গাড়ির ধাক্কায় একজনের মৃত্যু ও ১২ জন জখম হয়েছেন। বারেলিতে একটি ট্রাক পথ বুঝতে না পেরে একটি বাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন: ৪০টি মন্দির ‘মুক্ত’ করার ‘ধর্মযুদ্ধ’ ঘোষণা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে ঘন থেকে ঘনতর কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পালাম কেন্দ্র থেকে দৃশ্যমানতা ছিল ১২৫ মিটার। সফদরজং কেন্দ্র থেকে দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটারের কাছাকাছি। পাটিয়ালা, লখনউ এবং প্রয়াগরাজে দৃশ্যমানতা ২৫ মিটারের নীচে নেমে যায়। অমৃতসরে তা শূন্যে গিয়ে ঠেকে।
স্বাভাবিকভাবেই বায়ুদূষণের মাত্রাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ভালো গেলেও বাতাসে দূষণ সূচক এদিন সকালে ৩৮১-তে গিয়ে পৌঁছায়। যাকে খুব খারাপের পর্যায়ে বলা হয়। দিল্লিতে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অন্য খবর দেখুন