বেঙ্গালুরু: বিরোধী জোট বৈঠকের শেষে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এ লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই। দেশের সমস্ত সম্পদ গুটিকয় লোকের হাতে চলে যাচ্ছে। আমি এই প্রশ্ন তুলেছিলাম। দেশের মানুষের দাবিকে পায়ের তলায় দাবিয়ে রাখা হচ্ছে। এই লড়াই ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এনডিএর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটা অভিন্ন কর্মসূচি নেব। রাহুল আরও বলেন, আমাদের দেশ ভারত আজ আক্রান্ত। দিনের পর দিন জিনিসের দাম বাড়ছে। এটা দুটো আদর্শের লড়াই।
বিরোধী দলের দুদিনের বৈঠক শেষে কংগ্রেস সভাপতি জোটের নতুন নামকরণের কথা ঘোষণা করে বললেন, নয়া এই জোটের নাম হল আইএনডিআইএ। এরপর মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে যে বৈঠক হবে সেখানে কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হবে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্সের পরবর্তী বৈঠক বসবে মুম্বইয়ে জানান খাড়্গে। সেখানে ১১ সদস্যের কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি পরবর্তী বৈঠকের দিন স্থির করবে। এছাড়াও একটি সম্পাদকস্তরের কমিটি গঠিত হবে।
খাড়্গে আরও বলেন, ২৬টি দলের যে জোট হচ্ছে, তার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। এদিনই এনডিএ-র যে বৈঠক হতে চলেছে তাকেও কটাক্ষ করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ওরা ৩০ দলের বৈঠকে বসতে চলেছে। জানি না, ওরা এতগুলি দল কোথা থেকে পেল। আসলে বিরোধী দলদের দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভয় পেয়েছেন।
যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের আগেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বৈঠকে জানিয়ে দেন, তাঁর দল ক্ষমতার জন্য কিংবা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লালায়িত নয়। মহাবৈঠকের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী ভাষণে খাড়্গে আরও বলেন, কংগ্রেসের লক্ষ্য আবার ক্ষমতা দখল করা নয়। এই জমায়েতের উদ্দেশ্য হল আমাদের দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে রক্ষা করা। তিনি স্বীকার করেন, বিভিন্ন রাজ্যস্তরে বিরোধী দলগুলির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু সেগুলি আদর্শগত লড়াই নয়। সেই মতপার্থক্য এমন কিছু বড় নয় যা এই মুহূর্তে সরিয়ে রাখা যায় না। এখন সব থেকে বড় সমস্যা দেশের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষের যারা বাজারদর নিয়ে নাজেহাল, সেইসব যুবরা যারা বেকারির যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে তাদের কথা ভাবার সময় এসেছে। মনে রাখতে হবে, এখানে যে ২৬টি দল এসেছে তারা ১১টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে।