কলকাতা: সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের অন্যতম রীতি ছিল এক ব্যক্তি, এক পদ। আর এই নীতি ঘিরেই শুরু হয় জল্পনা-বিতর্ক-চাপানউতোর। বিশেষ করে কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই রীতি মানা হয়নি বলেও দেখা যায়। তার পর থেকেই যে জল্পনা বাড়ছিল, তাই উস্কে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইবোনেরা। এবং সংগঠনে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দেবাংশু ভট্টাচার্য, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহাদের পোস্ট।
অভিষেকের তুতো ভাইবোন যেমন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অদিতি গায়েন, সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিশা বন্দ্যোপাধ্যায়রা সোশাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি, এক পদ নিয়ে পোস্ট করতে শুরু করেন। আর এর পরই শুরু হয় জল্পনা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের রীতি-নীতি স্পষ্ট করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের কথায়, দলনেত্রী পরামর্শ এবং সম্মতি নিয়েই আজ এই সাংবাদিক বৈঠক। একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এক ব্যক্তি, এক পদ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হচ্ছে। আসলে এখানে নেত্রীর পুরো কথা তুলে ধরা হয়নি। আর সেই জন্যই বিভ্রান্তি।
সাংগঠনিক বৈঠকে ঠিক কী বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? ফিরহাদের কথায়, এক ব্যক্তি, এক পদকে সমর্থন করেছেন মমতা। কিন্তু তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। আসলে ফিরহাদ যেটা বোঝাতে চেয়েছেন তা হল, দলের সর্বময় কত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনেকের অনেক মত থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সবার সব মতকে গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে। আলোচনা হবে। শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: দল শাস্তি দিলে মাথা পেতে নেব, ফেসবুক বিতর্কের পর বলছেন মদন
এর পরই ফিরহাদের স্পষ্ট বার্তা, এই ভাবে সোশাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি, এক পদ নিয়ে যে প্রচার চলছে, তা দল সমর্থন করে না। এটা নিয়ে দলে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দিন কয়েক আগেই দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছে। সর্বভারতীয় নেত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কথা মনে করিয়ে ফিরহাদ জানান, সর্বভারতীয় নেত্রী হিসেবে আবার মনোনীত হয়েছেন মমতা। সাংগঠনিক রীতি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আবার আলোচনায় বসবেন। কিছু নীতি নিয়ে নতুন ভাবনাচিন্তা হবে। আলোচনা হবে।