ওহিও: উইম্বলডনের বদলা এবারে সিনসিনাটি ওপেনে। আলকারাজকে পরাজিত করলেন নোভাক জোকোভিচ। প্রায় চার ঘন্টার লড়াইয়ে ম্যাচ স্কোর- ৫-৭, ৭-৬(৯-৭), ৭-৬(৭-৪)।প্রথম সেট থেকেই চলছিল রুদ্ধশ্বাস লড়াই। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও লম্বা র্যালি খেলছিলেন তাঁরা। দ্বাদশ গেমে আলকারাজের ব্যাকহ্যান্ডের রিটার্ন করতে না পেরে প্রথম সেট হারান জোকোভিচ। প্রথম সেটে আলকারাজের তুলনায় একটু বেশি ক্লান্ত দেখাচ্ছিল জোকোভিচকে। হতে পারে টানা ম্যাচ খেলার ধকল সামলাতে সমস্যায় পড়ছিলেন সার্বিয়ার তারকা।
দ্বিতীয় সেটেও একটা সময় ৪-২ এগিয়ে ছিলেন আলকারাজ। দেখে মনে হচ্ছিল স্ট্রেট সেটে ম্যাচের ফয়সালা হবে। কিন্তু সপ্তম গেমে আলকারাজ সার্ভিসে ভুল করেন। সেই সুযোগ নেন জোকোভিচ। সার্ভিস ভাঙেন তিনি। টাইব্রেকারে গড়ায় সেট। সেখানে একটা সময় চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্টে ছিলেন আলকারাজ। সেই পয়েন্ট বাঁচান জোকোভিচ। তার পরে ২৫ শটের র্যালিতে আলকারাজকে পরাস্ত করে দ্বিতীয় সেট নিজের নামে করেন ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।
তৃতীয় সেটেও টান টান লড়াই চলছিল। সপ্তম গেমে আলকারাজের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যান জোকোভিচ। নবম গেমে দু’টি চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট ছিল জোকোভিচের কাছে। হারের মুখে দাঁড়িয়েও লড়াই ছাড়েননি আলকারাজ। দু’টি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে সেই গেম জেতেন তিনি। পরের গেমে জোকোভিচের সার্ভিস ভাঙেন আলকারাজ। ৩-৫ থেকে ৫-৫ করেন তিনি। তৃতীয় সেটও টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে আলকারাজের আনফোর্সড এররের সুবিধা নেন জোকোভিচ। স্পেনের তারকার একটি ফোরহ্যান্ড লাইনের বাইরে পড়ায় ম্যাচ জিতে যান নোভাক।
ম্যাচ জিতে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি জোকোভিচ। দু’হাতে নিজের জামা ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে নোভাক বলেন, ‘কী বলব বুঝতে পারছি না। আমার কেরিয়ারের সব থেকে কঠিন প্রতিপক্ষ আলকারাজ। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা লড়েছি। এক বারের জন্যও আলকারাজ হাল ছাড়েনি। তবে এই দিনটা আমার ছিল।’
কেরিয়ারের ৯৫তম ট্রফি জিতলেন জোকোভিচ। এটি তাঁর ৩৯তম মাস্টার্সে ১০০০তম জয়। আগামী ২৮ অগস্ট থেকে শুরু ইউএস ওপেন। কোভিড টিকা না নেওয়ায় গত বার খেলতে পারেননি জোকোভিচ। এ বার খেলবেন তিনি। ২৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লড়াইয়ে নামবেন তিনি। তবে সামনে থাকবেন আলকারাজ। শীর্ষ বাছাই হিসাবে ইউএস ওপেন খেলতে নামবেন তিনি।