Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | ২০১৪-২০২৩, মোদিজির আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩, ১০:২০:০০ পিএম
  • / ১৭০ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

ছদ্মবেশ লুকিয়ে রাখা যায়, কিন্তু তা সাময়িক। সময়ের ফেরে সেসব রং উঠে যায়, নকল যা কিছু খসে পড়ে বেরিয়ে আসে আসল চেহারা। বা ধরুন রাবণের কথা, সীতাকে বৃত্তের বাইরে আনাটাই ছিল লক্ষ্য, ভবতি ভিক্ষাং দেহি বলে যে সাধু এসেছিলেন ভিক্ষা নিতে, বৃত্তের বাইরে বের হতেই সেই সাধু তার ছদ্মবেশ ছেড়ে হয়ে উঠল দশানন রাবণ। বা ধরুন সেই ব্রিটিশ বণিকের দল, যারা পোহালে শর্বরী, রাত পোহালেই রাজদণ্ড নিয়ে হাজির হয়েছিল আমাদের দেশে এবং তারপর দু’শো বছরের পরাধীনতা। ঠিক সেরকমই ২০১৪ সালে এক চায় পে চর্চা থেকে উঠে আসা মানুষ নরেন্দ্র মোদি ধীরে ধীরে তাঁর খোলস ছেড়েছেন। আজ যাঁকে আপনারা দেখছেন, ২০১৪-তে তিনি সেই চেহারায় ছিলেন না। এই আলোচনার মাপকাঠি এক বক্তৃতা। আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন যে একটা বক্তৃতা দিয়ে একজন মানুষের মূল্যায়ন? হ্যাঁ সম্ভব, যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, যদি তাঁর সেই বক্তৃতা ১৫ অগাস্ট, দেশের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেই বক্তৃতা সেই জননেতার চেহারা বলেই ধরতে হবে। কোটি কোটি দেশবাসীর সামনে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন, তাঁর উপলব্ধির কথা বলবেন, দেশের মানুষকে দিশা দেখাবেন, দেশের সামনে সমস্যা আর সম্ভাবনার যাবতীয় তথ্যের ভিত্তিতে তিনি মানুষকে আগামী দিনের দেশ গঠনের প্রক্রিয়ার কথা বলবেন। হাজার, লক্ষ, কোটি ছাত্র, যুবক, কৃষক শ্রমিক, পুরুষ, মহিলা সে কথা শুনবেন এবং সেটাই তো দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেহারা। সে বক্তৃতার সবসময়েই দুটো ভাগ থাকে, এক উনি দেশকে, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোন চোখে দেখেন, দেশ নিয়ে তাঁর ধারণা রোজ রোজ তো পাল্টাবে না। কিন্তু নিশ্চয়ই নতুন দিশা আসবে, এক প্রকল্পের ঘোষণা শেষে সেই প্রকল্পের রূপায়ণের পরে নতুন প্রকল্পের কথা তিনি জানাবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। তাহলে দুটো বছরকে বেছে নেওয়া যাক। 

নরেন্দ্র মোদির শুরুয়াতি বছর, ২০১৪-র ১৫ অগাস্ট, মাস আড়াই হয়েছে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। প্রথমবার দেশের কোটি কোটি মানুষের সামনে কথা বলবেন, এমনও নয় যে জাতীয় রাজনীতিতে তিনি পরিচিত মুখ। মাত্র ক’ বছর আগেই জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর নাম শোনা গেছে, আগের অতীতে রয়েছে গুজরাতের ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দিল্লির মিডিয়া, জাতীয় সংবাদমাধ্যম তখনও বুঝেই উঠতে পারেনি এই নেতা কে, কেবল ভাসা ভাসা কিছু কথা শোনা যাচ্ছে। সেই সময় তিনি ১৫ অগাস্টে পতাকা উত্তোলনের পরে ঝাড়া ৬৪-৬৫ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। আর ২০২৩-এ যখন বক্তৃতা দিতে এলেন তখন হ্যাঁ, দেশ বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি, কিন্তু প্রতি ব্যক্তি আয়, মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দেশ ১৪২ নম্বরে। দেশের বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি রেকর্ড তৈরি করেছে, দেশের এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ডেফিসিট বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে দুই কি তিন নম্বরে। আর্থিক বৈষম্য এই হারে ছিল না কখনও, ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমছে, বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে হারছে বা হারার মুখে, সেই সময় আবার ২০২৩-এর ১৫ অগাস্ট নরেন্দ্র মোদি ভাষণ দিলেন স্বাধীনতা দিবসে, এবার ৯৪ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণ। এই দুটো ভাষণ আর আজকের অবস্থার যদি একটা তুলনামূলক আলোচনা করি তাহলে বোঝা যাবে কীভাবে মোদিজি বদলাচ্ছেন, কীভাবে তাঁর মুখোশের রং খসে পড়ছে, কীভাবে তিনি খোলস ছেড়ে নব কলেবর ধারণ করছেন। প্রথম যে তফাত তা হল ২০১৪-র বক্তৃতা ছিল অশুদ্ধ হলেও হিন্দিতে, মাঝেমধ্যে সামান্য কিছু ইংরেজি শব্দ জুড়েছিলেন মোদিজি। এবারে? সেই অশুদ্ধ হিন্দি তো আছেই, কিন্তু এবারে প্রতি তিন চারটে বাক্যের পরে উনি ইংরেজি শব্দ, বাক্য ব্যবহার করেছেন, যার আবার বহুক্ষেত্রে অর্থ উদ্ধারও কঠিন বা সম্ভবই নয়। ২০১৪-তে প্রধানমন্ত্রীকে অনেক সজীব দেখাচ্ছিল, অনেক বেশি কনফিডেন্স, এবার ২০২৩ এ মধ্যেই জল খেতে হল অন্তত দু’বার, ঢোক গিললেন, শব্দ খুঁজে পেতে সময় লাগল বেশ কয়েকবার, বয়সের কারণে? নাকি আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে? সে আলোচনায় পরে আসছি। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতের তিন অস্ত্র— ঘৃণা, মিথ্যে আর ভয় 

উনি ২০১৪-তে বলতে উঠেই বলেছিলেন আমি দেশের প্রধান সেবক, ২০২৩-এ কি একবারও উচ্চারণও করেছেন এই প্রধান সেবক কথাটা? না করেননি? এরপরে তিনি বললেন, Brothers and sisters, today if we have reached here after independence, it is because of the contribution of all the Prime Ministers, all the governments and even the governments of all the States. I want to express my feelings of respect and gratitude to all those previous governments and ex-Prime Ministers who have endeavoured to take our present day India to such heights and who have added to the country’s glory. ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমরা স্বাধীনতার পরে আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি তা আমাদের দেশের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর, প্রত্যেক সরকারের, প্রত্যেক রাজ্য সরকারের সম্মিলিত অবদানের জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমি সেই প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী, সরকারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, যাদের জন্যই দেশ এই উচ্চতায় আজ দাঁড়িয়ে, যাঁদের অবদানে দেশের এই গৌরববৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৪-তে এই কথা বলেছেন আর আজ তিনি কী বলেন? দেশ ধ্বংসের মুখে চলে গিয়েছে আগের সরকারের দুর্নীতি, বংশানুক্রমিক শাসন আর তুষ্টিকরণ নীতির জন্য। বুঝুন, ক’ বছর আগে যিনি দেশের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশের এই উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তাঁদেরকে তিনি দুর্নীতি, বংশানুক্রমিক শাসন, আর তুষ্টিকরণের দায়ে দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন। এরপরে তিনি বলছেন, Having taken all the Parties and Opposition along while working shoulder to shoulder, we achieved an unprecedented success and the credit for this does not go to the Prime Minister alone, the credit does not go to the people sitting in the government, the credit for this goes to the Opposition also, the credit goes to all the leaders of Opposition too and also all the Members from Opposition. সমস্ত দল, বিরোধীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা যে সাফল্য অর্জন করেছি, তা কেবল প্রধানমন্ত্রীর জন্য নয়, সরকারের সঙ্গে সঙ্গে এই কৃতিত্ব বিরোধী দলনেতার, বিরোধী দলের প্রত্যেক সদস্যের। আর আজ ২০২৩-এ ওই লালকেল্লার মঞ্চ থেকেই তিনি বললেন, বিরোধীরা দেশের উন্নয়ন বিকাশকে স্তব্ধ করে দিতে চায়, বিরোধীদের উনি টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের অংশ বলেই মনে করেন, বিরোধীদের উনি দেশদ্রোহী বলেই মনে করেন। 
হ্যাঁ, ২০১৪ থেকে ২০২৩-এ এসে তিনি সমস্ত ভদ্রতা সভ্যতার মুখোশ ছুড়ে ফেলে নিজের আসল চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। উনি ২০১৪-তে বলেছিলেন, Even after Independence, we have had to face the poison of casteism and communalism. How long these evils will continue? Whom does it benefit? We have had enough of fights, many have been killed. Friends, look behind and you will find that nobody has benefited from it. স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের জাতিবাদের, সাম্প্রদায়িকতার বিষ বহন করে নিয়ে যেতে হচ্ছে? আর কতদিন এটা চলবে? এতে কার লাভ? অনেক লড়েছি আমরা, অনেক মৃত্যু দেখেছি, বন্ধুরা পেছন ফিরে দেখো, এতে কারও কোনও লাভ হয়নি। হ্যাঁ, এটাই নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন ২০১৪-তে। আজ তিনি পরনের কাপড় দেখে মুসলমান চিনে যান, কোথাও গরু পাচারের অভিযোগে, কোথাও গরুর মাংস রাখার অভিযোগে মানুষকে পিটিয়ে, জ্যান্ত জ্বালিয়ে মারা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী একটা কথাও বলেছেন? এই তো এখনই জ্বলছে হরিয়ানার নুহ, প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেছেন? অসংখ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে, সংখ্যালঘুরা নিজেদের বিপন্ন মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রী ২০০ বছরের ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জুড়ে দিলেন ইসলামিক নবাব, সুলতান, মুঘল ইতিহাসকেও, বললেন ১০০০ বছরের গোলামির কথা। কেন? কারণ তাঁর লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র, আরএসএস-এর লক্ষ্য ২০২৫-এর ভেতরেই হিন্দুরাষ্ট্র। তিনি তাঁর অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্ম নিরপেক্ষতার খোলস ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। উনি সেদিন বলেছিলেন, My dear countrymen, believe in my words, I do assure you. Shun all the sins committed so far, give up that way, follow the way of goodwill and brotherhood, and let’s resolve to take the country forward. I believe we can do that. আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাকে বিশ্বাস করুন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, যা পাপ হয়ে গেছে, এখন তা সরিয়ে রাখুন, সৌভ্রাতৃত্ব, সুসম্পর্কের কথা বলুন, চলুন দেশকে আগে নিয়ে যাই। আমি মনে করি তা সম্ভব। আর আজ? 

অযোধ্যা দখলের পরে নতুন করে কাশী-মথুরাই শুধু নয়, আরও ৩০ হাজার এমন মন্দিরের কথা বলা হচ্ছে, যা নাকি ভাঙা হয়েছিল ওই মোগল শাসনের সময়ে। এক অযোধ্যাতেই সারা দেশ জ্বলেছিল, এবার ৩০ হাজারে গোটা দেশ জ্বলবে, মোদিজি, আরএসএস-বিজেপি সেটাই চান। না, এ নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী, উল্টে এবারের ভাষণে ১০০০ বছর গোলামির ইতিহাস থেকে মুক্ত হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। সেদিন যা যা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি কেবল নয় গরিব মানুষের আচ্ছে দিন, বেকারের চাকরি থেকে সাধারণ মানুষের হাতের মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, প্রত্যেকটা কথার আজ ঠিক উল্টো ছবি আমাদের সামনে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে মণিপুরের জাতিদাঙ্গা অন্য রাজ্যে ছড়াচ্ছে, তিনি চুপ করে বসে আছেন, একটা অকর্মণ্য সরকারকে সরানোর ধক তাঁর নেই, সদিচ্ছেও নেই। কিন্তু এর মধ্যে ৯টা রাজ্যের সরকার গড়েছেন দল ভাঙিয়ে, নির্বাচিত সরকার ফেলে দিয়ে। আসলে কোথাও নড়বড় করছে তাঁর আগামী ভবিষ্যৎ, তিনি নার্ভাস, আর ডুবতে হুয়ে কো তিনকে কা সাহারা কাফি হ্যায়, উনি সাম্প্রদায়িকতাকেই অবলম্বন করে ভেসে থাকতে চাইছেন, কিন্তু খড় ধরে মাঝসমুদ্রে কি কেউ ভেসে থেকেছে? উত্তর না, থাকেনি, উনি হাজার চেষ্টা করেও ভেসে থাকতে পারবেন না।    

 

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team