বিষ্ণুপুর: তৃণমূলের (TMC) বিজয় মিছিল ঘিরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়ের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) জয়ের পর তৃণমূলের আবির ছোড়া নিয়ে বচসা বাঁধে শাসকদলের আদি ও নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে। তৃণমূলের মধ্যে আদি ও নব্য সংঘর্ষের ছেলেকে বাঁচাতে গেলে ধাক্কা দেওয়া হয় মাকে। ধাক্কাতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় অলকা রুইদাসের। এমনই দাবি মৃত অনকার পরিবারের। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পঞ্চানন রুইদাস ও তাঁর অনুগামীরা।
পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে গেলেও রাজ্যের জেলায় জেলায় অব্যাহত হিংসা, বোমাবাজি, গোষ্ঠী সংঘর্ষ। উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় প্রতিটা জেলায় উত্তপ্ত। রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জনের কাছাকাছি। ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত গোলসি। সদ্য নির্বাচিত তৃণমূলের সদস্যকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে। জখম বেশ কয়েকজন তৃণমূল সহ সিপিএম, কংগ্রেস কর্মীরা। দোকানপাট ভাঙচুরের অভিযোগ। অভিযোগের তীর উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রঘুনাথপুর এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিরোধীদজের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে জখম বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল হাসপাতালে। ডেবরায় বিজেপি ভালো ফল করতে না পারায় রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | কোচবিহারে বিজেপির তথ্যানুসন্ধান দল, আহত এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ
পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগামী কয়েকদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সহ শীর্ষ আধিকারিকেরা। অন্যদিকে, ভোট ঘিরে যে হিংসা ছড়িয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে বিজেপি ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিট। শুক্রবার আহতদের দেখতে ও মৃত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহারে পৌঁছন বিজেপির ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটির সদস্যরা। বেসরকারি হাসপাতালে যান, আহতদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখা থেকে তাঁরা কোচবিহারে বিজেপির পোলিং এজেন্ট মৃত মাধব বিশ্বাসের বাড়ি যান।