কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইওরোপের একাধিক দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমণের জেরে গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, কোনও ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে, কেন্দ্রের গাইডলাইনে তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সবকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের কাছে এই গাইডলাইন পাঠিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। একইসঙ্গে
কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে কোনও মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য নেই।
কী ভাবে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে চিহ্নিত করা যাবে? এক্ষেত্রে ল্যাবে নির্দিষ্ট পরীক্ষার
কথা বলা হয়েছে গাইডলাইনে। পলিমার্স চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর (PCR) পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসের ডিএনএ-র (DNA) চরিত্র খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
গাইডলাইনে। কোভিডের ক্ষেত্রে যেমন রোগীর লালরস থেকে নমুনা সংগ্রহ করে
আরটিপিসিআর (RTPCR) পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসকে চিহ্নিত করা হত। সমস্ত ক্লিনিক্যাল নমুনা পুনের আইসিএমআর-এনআইভি (ICMR-NIV) ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ থেকে পুনের ল্যাবে পৌঁছে দেওয়া, এই পুরো প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে চলার কথা বলেছে কেন্দ্রের গাইডলাইন। এই প্রোটোকলের নাম IDSP বা ইনটিগ্রেটেড ডিজিস সার্ভেলিয়ান্স প্রোগ্রাম।
সংক্রমণ মোকাবিলায় কেন্দ্রের হাতিয়ার সম্ভাব্য রোগীর উপর নজরদারি। যত বেশি সম্ভব নতুন সংক্রামিতদের চিহ্নিত করা এবং মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শৃঙ্খলকে রুখে দেওয়া। রোগীকে আইসোলেশন বা সুরক্ষা ঘেরাটোপের মধ্যে রাখতে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে গাইডলাইনে।
আরও পড়ুন Sidhu Moosewala: সিধু হত্যাকাণ্ডে লরেন্স বিষ্ণোইকে হেফাজতে নিল দিল্লি পুলিস
কোনও ব্যক্তি যাদি মাঙ্কিপক্স রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন তো তাঁকে নজরদারির মধ্যে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একেবারে প্রথম দিন থেকে পরের তিন সপ্তাহ অর্থাৎ একুশ দিন ওই ব্যক্তির শারীরিক উপসর্গের দিকে নজর রাখতে হবে। রোগীর ব্যবহার করা জিনিসপত্রের সংস্পর্শে এলেও একইরকম গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ হয়েছে একবার প্রমাণিত হলে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। যে বা যিনি রোগীর সংস্পর্শে যাবেন বা পরিচর্যা করবেন তাঁকে পিপিই কিট ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গাইডলাইনে।