কলকাতা: বাংলাদেশের ক্লাবটার নাম আবাহনী লিমিটেড ঢাকা (Abahani Limited Dhaka)। নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তাদের সামর্থ্যও ‘লিমিটেড’। মানে বলতে চাইছি ফুটবলিং দক্ষতায়। গত বছর এই দলটাকেই ৩-১ হারিয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan SG)। মঙ্গলবার ফের একই ফলাফল হল। ম্যাচের আগের দিন আবাহনীর কোচ বেশ গরম গরম কথা বলেছিলেন। তাঁর ছেলেরা নাকি মাঠে জান লড়িয়ে দেবে। সাধ্যমতো চেষ্টা নিশ্চয়ই করেছেন আবাহনীর খেলোয়াড়েরা, কিন্তু সবুজ-মেরুনের ফুটবলের সামনে ধোপে টেকেনি।
শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় মেরিনার্স। কিন্তু ১৭ মিনিটে প্রথম গোল খায় তারাই। বক্সের মধ্যে ভেসে আসা নির্বিষ ক্রস কীভাবে যে হাত থেকে ফস্কালেন মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ, তা ব্যাখ্যার অতীত। সামনেই ছিলেন আবাহনীর স্ট্রাইকার কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল স্টুয়ার্ট। ছোট্ট টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ইডেনে কবে আনা হবে বিশ্বকাপ ট্রফি? জানতে পড়ুন
গোল খেয়ে চাপ বাড়ায় বাগান। আজ একই সঙ্গে জেসন কামিংস (Jason Cummings) এবং আর্মান্দো সাদিকু (Armando Sadiku), দুই স্ট্রাইকারকেই নামিয়ে দিয়েছিলেন হুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferando)। এমনিতে ফর্মেশন ৪-১-৩-২ কিন্তু আক্রমণের সময় মাঝমাঠে খেলোয়াড় বাড়ছিল। ৩২ এবং ৩৩ মিনিটে পরপর দুটো সুযোগ আসে বাগানের। সাহালের শট বাঁচিয়ে দেন আবাহনী গোলকিপার শাহিদুল, আর বক্সের মধ্যে ভেসে আসা ক্রসে কেউ পা বা মাথা ছোঁয়াতে পারেনি। ৩৫ মিনিটে আবাহনী বক্সে লিস্টন কোলাসোকে (Liston Colaco) ফাউল করলে পেনাল্টি দিতে ভুল করেননি ইরানের রেফারি বিজান হায়দারি। গোল করতে ভুল করেননি কামিংসও।
THROUGH TO THE AFC CUP GROUP STAGE!#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/bvQZTn8wPO
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) August 22, 2023
এরপর থেকে একটা দুটো মুহূর্ত ছাড়া পুরোটাই খেলল মোহনবাগান। প্রথমার্ধ ১-১ ফলে শেষ হয়। ৫৮ মিনিটে এল বাগানের দ্বিতীয় গোল। বক্সের বাঁ দিক থেকে গড়ানো ক্রস বাড়ান হুগো বুমোস। আবাহনী ডিফেন্ডার মিলাদের পা লাগানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। তিনি পা না লাগালে পিছনেই ছিলেন কামিংস। মিলাদের পা ছুঁয়ে বল গোলে ঢুকে গেল। দুই মিনিট পরেই আবার গোল। অনেকটা একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবার অবশ্য আত্মঘাতী গোল হয়নি। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গোল করেন সাদিকু।
যত দিন যাচ্ছে তত খেলা খুলছে মোহনবাগানের। তবে ফাইনাল পাসিং আরও ভালো করতে হবে। এদিন ফেরান্দোর ছেলেরা যে দাপট দেখিয়েছে তাতে আরও গোল হওয়া উচিত ছিল। খেলা তৈরি হচ্ছে কিন্তু ‘এন্ড প্রডাক্ট’ আসছে না। এই ব্যাপারটার সমাধান করতে পারলেই ভয়ঙ্কর দল হয়ে উঠবে মোহনবাগান। এই জয়ে এএফসি কাপের (AFC Cup) সাউথ জোনের গ্রুপ লিগে ঢুকে পড়ল তারা। আসল খেলা তো এবার শুরু।