Placeholder canvas
কলকাতা বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | শ্রমিকের ঘাম রক্তে ফুলে ফেঁপে উঠছে মোদিসখা আদানির ভাণ্ডার 
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩, ১০:৩০:০০ পিএম
  • / ১৩৮ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

ক’দিন আগেই বিজেপি এক প্রচার নিয়ে মাঠে নেমেছে। মোদিজি এখানে কার্টুন ক্যারেক্টার, খানিক সুপারম্যান গোছের, সামনে প্রত্যেক বাধা টপকে তিনি এগিয়ে চলেছেন ফাইভ ট্রিলিয়ন ইকোনমির দিকে। রাস্তায় বাধা দেওয়ার জন্য কোথাও রাহুল, কোথাও সোনিয়া, কোথাও বিবিসি ওনাকে বাধা দেবার চেষ্টা করছে, উনি এগিয়ে যাচ্ছেন বীরদর্পে। সত্যি কথা বলি, আগামিকাল এই ভিডিয়ো নিয়ে একট পুরো এপিসোড করব, আজ কেবল উল্লেখ করছি, কার্টুন ভিডিয়োর শেষে মোদিজি চলছেন ৫ ট্রিলিয়ন ইকোনমির দিকে। গান বাজছে, মুসাফির হু ইয়ারো, না ঘর হ্যায় না ঠিকানা, মুঝে চলতে জানা হ্যায়, ব্যস চলতে জানা। পরিচয় ছবিতে জিতেন্দ্র ঘোড়ার গাড়িতে করে যাচ্ছে তো যাচ্ছে, এখানে নরেন্দ্র মোদিও চলছেন। কারওর কোনও প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। উনি অরণ্যদেব, ম্যানড্রেক, যখন উনি চাইবেন তখন উনি কথা বলবেন, উনি না চাইলে কথা বলবেন না, অন্য কারওর মন কি বাত শোনার ধৈর্য ওনার নেই, শোনার প্রশ্নও নেই, কেবল উনি বলে যাবেন, ওয়ান ওয়ে কমিউনিকেশন। ওনাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে সংসদে, সংসদের বাইরে, উনি সংসদের ভেতরে বা বাইরে কোনও প্রশ্নের জবাব দেওয়ার তাগিদ বোধ করছেন না। উনি এক সুপারম্যান যিনি চলেছেন নিজের তৈরি লক্ষ্যের দিকে। 

আপাতত তাঁকে যে প্রশ্নগুলো করা হচ্ছে, সংসদের বাইরে বা ভেতরে যে প্রশ্ন তাঁর দিকে আসছে, সেগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক। ১) আদানির সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কী? আচ্ছা কেন এই প্রশ্ন উঠছে? উঠছে কারণ দেশের সবথেকে বড় ধনী মানুষটি মাত্র মাসছয়েকের মধ্যে ৫৫-৬০ শতাংশ সম্পদ খুইয়েছেন। এবং এই সম্পদ তো কেবল ওনার একার নয়, উনি নিজের বাপকেলে সম্পত্তি বেচে টাকা ঢেলেছিলেন, এখন ওনার নির্বুদ্ধিতার জন্য সেই ব্যবসায় লস হচ্ছে, এটা যদি হত, তাহলে আমরা বড়জোর আহা উহু করতাম। কিন্তু তা তো নয়, উনি দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়েছেন, এক আধ টাকা নয়, লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র বছর বারো-চোদ্দোর মধ্যে আঙুল ফুলে কলাগাছ এবং তার পেছনে কারণটা কী? দেখা যাচ্ছে দেশের চৌকিদার কাম চায়ওয়ালা কাম ফকির কাম মুসাফির নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আচ্ছা, ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ? ২০১৪ নির্বাচনের আগে এই আদানির ব্যক্তিগত বিমানে চেপেই তিনি প্রচারে বেরিয়েছেন, এবং সাতসকালে নির্বাচনী বিভিন্ন  প্রচারে বেরিয়ে রাতে ফিরে গেছেন আমেদাবাদে। ফলাফল ঘোষণা হয়েছে, উনি ওই আদানির বিমানে চেপেই দিল্লি এসেছেন, সেখান থেকে সটান সংসদে। এরপর রিটার্ন গিফট। মোদিজি গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়, আদানি অস্ট্রেলিয়া কোল মাইনস-এর বরাত পেয়েছেন, মোদিজি গিয়েছেন শ্রীলঙ্কা, বন্দরের বরাত পেয়েছেন আদানি, মোদিজি গেছেন বাংলাদেশে, আদানি পেয়েছেন বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত। দেশের মধ্যে একের পর এক বন্দর, একের পর এক এয়ারপোর্টের দায়িত্ব পেয়েছেন, নামকরা জিভিকে কোম্পানির হাতে ছিল নভি মুম্বই এয়ারপোর্টের দায়িত্ব, তাদের কাছ থেকে সেই দায়িত্ব কেন জানা নেই এসেছে আদানিদের কাছে। তো সেই আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করল, আন্তর্জাতিক এক শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ-এর রিপোর্টে বলা হল আদানি কোম্পানিতে বহু কেলেঙ্কারি আছে। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | ছলে বলে কৌশলে এক বিরোধী মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি 

কেলেঙ্কারি নাম্বার এক, তাদের শেয়ার ইনফ্লেটেড, মানে ফোলানো ফাঁপানো, এই শেয়ারের আসল দাম অনেক অনেক কম। ঘাপলা নাম্বার দুই, কিছু জালি কোম্পানি, যাদের বাজারের পরিভাষায় শেল কোম্পানি বলা হয়, তারা আদানিদের ব্যবসায় টাকা ঢেলেছে, যারা মরিশাস বা ওই রকম কিছু জায়গা থেকে তাদের এই কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বলার পর থেকেই আদানিদের কঙ্কাল বের হতে শুরু করেছে, তাদের শেয়ারের দাম কমেছে ৫৫–৬০ শতাংশ। এরপরে দ্য মর্নিং কনটেক্সট তাদের রিপোর্টে জানাল, আদানিদের নামেই চলছে এসিসি বা অম্বুজা সিমেন্ট কিন্তু এর আসল মালিকানা আদানি গ্রুপেরই নয়। এর মধ্যেই উঠে এল আদানি লাইফ ইনশিওরেন্স, বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রচুর ধার নিয়েছেন, ওনার সম্পদ ডুবে যাওয়া মানে এই লাইফ ইনশিওরেন্স বা জাতীয় ব্যাঙ্কের টাকাও একইভাবে ডোবা। এবং প্রশ্নটা সেখানেই, দেশের মানুষের হার্ড আর্নড মানি, যা নাকি মানুষের সুরক্ষার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক বা সরকারি ব্যাঙ্ক বা এলআইসিতে রাখা আছে, কার জন্য সে টাকা ভোগে যাবে? কার দায়? মোদিজিকে সেটাই প্রশ্ন করেছেন বিরোধীরা, সংসদের ভেতরে এবং বাইরে। আচ্ছা এমনটাও তো বলা হয়নি যে গৌতম আদানি কে ধরে জেলে পুরে দাও। বলা হয়েছে তদন্ত হোক, দেশের প্রত্যেকটা বিরোধী দল এই তদন্ত চাইছে। মোদিজি জওহরলাল নেহরু কী কী করেননি, ইন্দিরা গান্ধী কতটা স্বৈরতান্ত্রিক ছিলেন, দেশ কীভাবে প্রগতিকে পথ পর, সব কা সাথ, সবকা বিকাশ ইত্যাদি বলেই যাচ্ছেন। এবং এই আবহেই বেরিয়ে এল আরেক কেলেঙ্কারির কথা। 

দ্য হিন্দুতে ছাপা হল সেই সেই রিপোর্ট যা বলছে আমদের দেশের শ্রমিকদের রক্ত ঘামও বেচে দেওয়া হয়েছে আদানিদের কাছে। আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মচারী ভবিষ্যৎ নিধির তহবিল থেকে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটাকে ইপিএফ বলা হয়, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড।  ২৭ কোটিরও বেশি সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের প্রাপ্য টাকার এক অংশ এই ফান্ডে রাখা হয়, সরকারও সম পরিমাণ টাকা সেখানে রাখে। এবং এই ইপিএফ-এর টাকা কর্মচারীরা রিটায়ার করার পরে পেয়ে থাকেন। আগে এই টাকা সরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা হত, এতে করে এই টাকা সুদে খানিক বাড়ত কিন্তু সুরক্ষিত থাকত। এখন সেই টাকা আদানির ব্যবসায়ে খাটছে। একটা মজার ব্যাপার দেখুন, বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড আছে, যারা পাওনার টাকা ইনভেস্ট করে আপনাকে সাধারণ সুদের হারের থেকে অনেকটাই বেশি টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করছে, অনেকে দিচ্ছেও। যারা দিচ্ছে সেই সব কোম্পানিগুলোর ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, মানে আপনার টাকা তারা কোথায় কোথায় ইনভেস্ট করছে তার লিস্টটা দেখুন। কোনও ভালো মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি তাদের টাকা কিন্তু আদানির কোনও কোম্পানিতে ঢালছে না। কেন? কারণ এই মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানিগুলো আদানিদের প্রকৃত চেহারাটা জানে, জানে বলেই সেখানে টাকা রেখে নিজেদের গুডউইল নষ্ট করতে চায় না। কিন্তু দেশের সরকার? দেশের সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে কি এই খবর নেই? তারা কেন আদানির বিভিন্ন কোম্পানিতে টাকা ঢালছে? কার নির্দেশে ঢালছে? কীসের বিনিময়ে ঢালছে? এই প্রশ্ন তো উঠবেই, যিনি বলেছিলেন আমি আপনাদের, দেশের মানুষের সম্পদের, দেশের সম্পদের চৌকিদার, না কিসি কো খানে দুঙ্গা, না খাউঙ্গা। কিন্তু এই বাওয়ালি দেওয়ার পরে কার্যক্ষেত্রে যা হচ্ছে তা তো ঠিক উলটো। কেন?

ইপিএফ এর ১৫ শতাংশ টাকা, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড-এ বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখান থেকে টাকা গেছে এনএসি–নিফটি ফিফটি কোম্পানিতে। তো এই ৫০ জনের তালিকায় আগে আদানির কোম্পানি ছিল না। ২০১৫ থেকে এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে আদানি এসইজেড অ্যান্ড পোর্ট। ২০২২-এর মার্চ অবধি ১.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা এই এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড-এ বিনিয়োগ হয়েছে, ২২-২৩ আর্থিক বছরে আরও ৩৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং এই ফান্ডের এক বিরাট টাকা বিনিয়োগ হয়েছে আদানি এসইজেড অ্যান্ড পোর্ট কোম্পানিতে, আদানি গোষ্ঠির কোম্পানি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের মতে এই কোম্পানির শেয়ার ভ্যালুতে জল মেশানো। কতটা জল? ওই রিপোর্ট বলছে ৮৫ শতাংশ। ভাবা যায়? এখনই শেয়ার নেমেছে ৫৫-৬০ শতাংশ। তাহলে? সেই মানুষগুলো যাদের প্রতিদিনের শ্রম বিক্রির কামাই, তাদের ঘাম রক্তের দাম এই ঠগ জোচ্চরদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা কে করল? সিবিআই যাবে না? ইডি যাবে না? দেশের চৌকিদার জবাব দেবে না? এই সেদিনে প্রকাশ্যে জনসমাবেশে, সংসদের মধ্যে নয়, বাইরেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কাপুরুষ বললেন, বললেন কারণ এই বিষয়গুলোতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আশ্চর্যজনক নীরবতা। রাষ্ট্র বড় উদ্যোগপতি, শিল্পপতিদের সাহায্য করবে না? তাদের ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে পাশে দাঁড়াবে না? এই ব্যবস্থায় নিশ্চয়ই দাঁড়াবে। এমনকী চীনও তাদের নির্দিষ্ট কিছু শিল্পপতির পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমেরিকা বা ইউরোপের রাষ্ট্র ব্যবসায়ী, উদ্যোগপতিদের পাশে থাকে কারণ এই উদ্যোগপতিরা একটা ব্র্যান্ড তৈরি করে, একটা গ্লোবাল ব্র্যান্ড, যেগুলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যায়, ব্যবসা আনে। খেয়াল করে দেখুন ইউরোপ, আমেরিকা বা চীনেও এই ব্যবসা পারিবারিক ব্যবসা নয়। ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন, প্রথমত টাটা থেকে আম্বানি, আদানি, এই ব্যবসায়ীরা মূলত পারিবারিক ব্যবসা চালান, দ্বিতীয়ত এদের কোনও গ্লোবাল ব্র্যান্ড নেই, টাটার তবু দেশের মধ্যে তাজ হোটেল, বা সদ্য পাওয়া এয়ার ইন্ডিয়া আছে, আম্বানির জিও আছে, কিন্তু আদানির? একটা তাসের প্রাসাদের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যবসায়ীর জন্য কেন এত সদয় আমাদের ফকির কাম মুসাফির? এতটাই সদয় যে শ্রমিকদের ঘাম রক্তও বেচে দিচ্ছেন তাদের হাতে? কেন? এ প্রশ্নের জবাব চাইছে দেশ।     

 

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team