নয়াদিল্লি: মাত্র চার বছরের জন্য সামরিক বাহিনীতে চুক্তির ভিত্তিতে ‘অগ্নিপথ’ নিয়োগের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে জঙ্গি-আন্দোলনে নামা তরুণদের প্রকল্পটির ভালোদিকগুলি বোঝাতে এগিয়ে এলেন তিন বাহিনী৷ রবিবার প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেনাবাহিনীতে এই সংস্কার প্রয়োজন ছিল৷ দেশরক্ষার কাজে তরুণদের এগিয়ে রাখা হয়৷ সেই কারণে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের বয়ঃসীমা প্রথমে রাখা হয়েছিল৷
এ দিন লিউটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী জানান, ১৯৮৯ সাল থেকে এটা আটকে ছিল৷ এই সংস্কার সেনাবাহিনীতে তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার মেলবন্ধন করাবে৷ তাছাড়া জওয়ানদের একটা বড় অংশের বয়স ৩০ পেরিয়েছে৷ বাহিনীর ক্ষেত্রে এটা চিন্তার কারণ৷ কেননা সীমান্ত সুরক্ষার কাজে তারুণ্যের প্রয়োজন৷ অগ্নিপথ প্রকল্প আনাই হয়েছে বাহিনীকে তারুণ্যে ভরপুর করে তুলতে৷ অনেক চিন্তাভাবনা, আলোচনা এবং বিশ্বের দেশগুলির সেনাবাহিনীর কাঠামো নিয়ে গবেষণা করার পরই অগ্নিপথ প্রকল্প আনা হয়েছে৷
কেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তারুণ্যের প্রয়োজন সেই ব্যাখ্যাও দেন অনীল পুরী৷ তিনি বলেন, ‘বাহিনীকে তরুণ করে তুলতে দীর্ঘ অনেক আলোচনা হয়৷ আমাদের তরুণ ছেলে-মেয়ে চাই৷ তরুণরা ঝুঁকি নিতে পারে৷ ওদের মধ্যে প্যাশন, জোশ এবং হোশ আছে৷’
আরও পড়ুন: Agnipath: অগ্নিপথ-বিদ্রোহীদের বাহিনীতে নিয়োগ নয়