ওভাল: যেটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটাই হল। আবারও ব্যর্থ ভাতীয় টপ অর্ডার ব্যাটার। ইতিবাচক ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করার চেষ্টা করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। কিন্তু দলীয় স্কোর যখন ৩০, ঠিক সেইসময় দ্য হিটম্যানের উইকেট তুলে নেন প্যাট কমিন্স। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের বলে প্লাম্ব এলবিডব্লিউ হন ভারত অধিনায়ক। এরপর থেকে একের পর এক উইকেট পতন হতেই থাকে। শুভমান গিল থেকে পূজারা এরপর বিরাট কোহলি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কোহলির কাছ থেকে বিরাট প্রত্যাশা অবশ্যই ছিল। কিন্তু বিরাট মঞ্চে সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ কোহলি। শুধু কোহলি নন, ভারতীয় টপ অর্ডার- রোহিত শর্মা(১৫), শুভমান গিল(১৩), চেতেশ্বর পূজারা(১৪), বিরাট কোহলি(১৪)- পুরোপুরি ব্যর্থ বললে ভুল বলা হবে না।
যদিও এরপর লড়াই শুরু করেন রবীন্দ্র জাডেজা। উইকেট পতন হলেও ইতিবাচক ব্যাটিং শুরু করেন স্যর জাডেজা। আইপিএলের রেশ যে এখনো কাটেনি সেটা তাঁর ব্যাটিং দেখে আরও একবার স্পষ্ট। তবে ৫১ বলে ৪৮ রান করে নাথন লিওর বলে আউট হয়ে যান তিনি। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারতের স্কোর ১৫১/৫। ব্যক্তিগত ২৯ রানে্র স্কোরে ক্রিজে রয়েছেন অজিঙ্ক রাহানে। এখনও ৩১৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে ভারত। শুধু রাহানেকে অতিমানবিক ইনিংস খেললেই হবে না, অপর প্রান্ত থেকে কোনও ব্যাটারকে যোগ্য সঙ্গও দিতে হবে।
এর আগে ৪৬৯ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। ট্রেভিস হেড করেন সর্বোচ্চ ১৬৩ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া স্টিভ স্মিথ ১২১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। হেড-স্মিথের ২৮৫ রানের এই পার্টনারশিপই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে মনে করছেন অনেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অ্যালেক্স ক্যারে উপযোগী ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মহম্মদ সিরাজ নেন সর্বাধিক ৪টি উইকেট। এছাড়া শার্দূল ঠাকুর এবং মহম্মদ শামি নেন ২টি করে উইকেট। বল হাতে ব্যর্থ অপর সিমার উমেশ যাদব। ওভাল ট্র্যাকে একটিও উইকেট পাননি তিনি। রবীন্দ্র জাডেজা নেনে একটি উইকেট। দ্বিতীয় দিনের শেষে বলতে দ্বিধা নেই- অ্যাডভান্টেজে অস্ট্রেলিয়া।