নয়াদিল্লি: দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! আর তাতেই সিলমোহর দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আবগারি দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, যে মনীশ সিসোদিয়া দুটি মোবাইল ফোন নষ্ট করার কথা স্বীকার করেছেন। জানা গিয়েছে, দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের ১৯ অগাস্ট পর্যন্ত তিনটি মোবাইল ব্যবহার করতেন। তার মধ্যে দুটি ফোন ২২ জুলাই, ২০২২ সালের আগে নিজের ইচ্ছেতেই নষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। মনীশ সিসোদিয়া জেরায় তা স্বীকারও করেছেন বলে দাবি করেছে সিবিআই। প্রমাণ লোপাট করতেই এই দুটি ফোন নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। চার্জশিটের এই তথ্যে শনিবার মান্যতা দিল আদালত। উল্লেখ্য, মনীশের এই ঘটনার সঙ্গে এ রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহার কর্মকাণ্ডের মিল খুঁজে পাচ্ছে সিবিআই।
সিবিআই চার্জশিটে আরও দাবি করেছে যে, দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে এই ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই সিসোদিয়াই। বেসরকারি পাইকারী মদ বিক্রেতাদের অযাচিত সুবিধা দিয়েছিলেন তিনি। পাইকারি বিক্রেতারা যাতে প্রচুর লাভ করতে পারেন, তার জন্য তাঁদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে। বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউটারদের থেকে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিতেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও সিসোদিয়া আবগারি নীতির পক্ষে ভুয়ো জনমত তৈরি করেছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের আবগারি নীতি প্রণয়ন করা হয়। ২১ মে-তেই মন্ত্রিসভা সেই নীতির অনুমোদনও দেয়।
আরও পড়ুন: Niti Ayog | নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী, তোপ বিজেপির
সিবিআইয়ের অভিযোগ, সেই সময় করোনার বাড়বাড়ন্ত যখন তুঙ্গে তখনই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গোটা বিষয়টি সম্পন্ন করা হয়েছিল। আবগারি দফতরের আধিকারিকদের চাপ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি কোম্পানিকে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার মূল কারিগর ছিলেন সিসোদিয়াই। অন্যদিকে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে হায়দরাবাদের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বুচি বাবু গোরান্টলা, মদ ব্যবসায়ী আমনদীপ সিং ধল এবং অর্জুন পাণ্ডের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই।