কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : গ্রেফতার শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী কে পি গোসাভি। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর খোঁজ করছিল পুলিশ। এরপর তিনি জানিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থানায় তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। যদিও তিনি আত্মসমর্পন করেননি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুনে পুলিশ।
কেপি গোসাভি একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা। যার সঙ্গে এনসিবির কোনও যোগাযোগই নেই। যদিও মুম্বই মাদককাণ্ডে NCB -র সাক্ষীদের মধ্যে তিনি একজন। যিনি আরিয়ান খানের (Aryan Khan) সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হয়েছিলেন। তাঁর পর থেকেই নিরুদ্দেশ ছিলেন গোসাভি। এরপর কিরণ পি গোসাভিরই দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল আরিয়ান কাণ্ডে টাকার লেনদেনের মোট গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
প্রভাকর সেইলের দাবি, ১০ টি সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, ২রা অক্টোবরের রাতে আরিয়ানকে এনসিবির দফতরে নিয়ে আসার পর কেপি গোসাভি এবং স্যাম ডিসুজার মধ্যে কথোপকথন শুনেছিলেন তিনি। যেখানে বলা হয়েছিল ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হবে। যদিও, ১৮ কোটিতে গোটা মামলা রফা হবে। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন – নিকাহ করেছিলেন সমীর, সুবিধা পেতে লুকিয়েছেন পরিচয়, ছবি-শংসাপত্র প্রকাশ করে অভিযোগ নবাবের
এছাড়াও তিনি জানান, শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সঙ্গে কেপি গোসাভিকে কথা বলতে দেখেছিল সে। পরবর্তীতে গোসাভি একটা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে বলে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে এনসিবি।
এরপরেই এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে মাদক মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে দিল্লি পৌঁছোন। এনসিনবির উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য, অন্যদিকে তখন মাদক মামলার মূল সাক্ষী কিরণ গোসাভি আত্মসমর্পণ করার খবর জানা যায় । সোমবার সন্ধায় তিনি জানান লখনউতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন। তবে, এর পর তিন দিন কেটে গেলেও তিনি আত্মসমর্পন করেননি। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুনে পুলিশ।