কেদারনাথ তীর্থযাত্রীদের নিয়ে উত্তরাখণ্ডে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার। বিপর্যয়ের খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। মঙ্গলবার ফাটা থেকে রওনা দিয়েছিল হেলিকপ্টারটি। প্রথমে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে জানা যায় মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। রুদ্রপ্রয়াগের জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পদস্থ এক কর্তা ৭ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। এর মধ্যে একজন পাইলট ও বাকিরা তীর্থযাত্রী।
মৃত ব্যক্তিদের নাম পূর্বা রামানুজ, কৃতি ব্রাড, উর্বী, সুজাতা, প্রেম কুমার, কালা, পাইলট অনিল সিং। এই ঘটনায় অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই দুর্ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এলাকায় এখনও তুষারপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অত্যন্ত প্রতিকূল হলেও তার মধ্যেই উদ্ধারকাজ চলছে।
আরও পড়ুন: Hindi Imposition: মধ্যপ্রদেশে হিন্দিতে প্রেসক্রিপশন, এবার তাহলে বাংলা-তামিলে লেখা হোক!
বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী সহ চারধাম যাত্রার মধ্যে কেদারনাথ হল অন্যতম। হেলিকপ্টারটি এদিন সকালে কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশির দিকে আসছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে। হেলিকপ্টারে ১ পাইলট ও ৬ জন তীর্থযাত্রী ছিলেন। তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টুইটে লিখেছেন, দুর্ঘটনার খবর খুবই দুঃখজনক। মন্ত্রক গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
জানা গিয়েছে, দিল্লির আরিয়ান বায়ু পরিবহণ সংস্থার হেলিকপ্টার ছিল ওটি। কেদারনাথ থেকে ৩ কিমি দূরে গরুড় চটির কাছে ভেঙে পড়ে চপারটি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বেল ৪০৭ ছিল হেলিকপ্টারটি। পাহাড়ে ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে চপার।