টোকিও: ব্যালিস্টিক মিসাইল (Ballistic Missile) ছোড়ার দায়ে শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Japanese Prime Minister Fumio Kishida) উত্তর কোরিয়ার (North Korea) তীব্র নিন্দা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইলটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (Exclusive Economic Zone – EEZ) পড়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টারের দেওয়া তথ্য অনুয়াযী সে দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী (Coast Guard) জানিয়েছে, মিসাইলটি উত্তর হোক্কাইডোর (Northern Hokkaido) অন্তর্গত একটি দ্বীপ থেকে মাত্র ২১০ কিলোমিটার দূরে পড়ে। অপর একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মিশাইলের আঘাতে একাধিক জাহাজ কিংবা বিমানের ক্ষতি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) ছোড়ার বিষয়টি একেবারেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে প্রাথমিক অবস্থায় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া মিসাইলটি “আইসিবিএম-ক্লাস (ICBM-class)”-এর। এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন হিসেবে যে অঞ্চলের কথা বলা হচ্ছে, তা জাপানের উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। থাইল্যান্ডে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশন সামিট মিটিং (Asia-Pacific Economic Cooperation summit meeting)-এ যোগ দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের জাপানি প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেন, “আমরা স্বাভাবিকভাবেই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি, নজিরবিহীনভাবে তারা বারবার এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা পিয়ংইয়্যাং (Pyongyang)-কে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি, এই ধরণের কাণ্ড আমরা সহ্য করব না।”
আরও পড়ুন: Myanmar prisoner amnesty: ৪ বিদেশি ও সু চি ঘনিষ্ঠ ৩ মন্ত্রীসহ ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল মায়ানমার
গত দু’দিনে এই নিয়ে উত্তর কোরিয়া দ্বিতীয়বার মিসাইল ছুড়ল। উত্তর কোরিয়া যা করছে, তাতে জাপান সহ আরও অনেক দেশ পরমাণু হামলার ভয় পাচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া একযোগে কাজ করছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু শক্তিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)-এর কাছে উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে গভীর উদ্বগের কথা জানিয়েছিলেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী কিশিদো। জাপানের আশা, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্ত পরিষদ (UN Security Council) সহ আন্তর্জাতিক মহলে উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে চিন (China) তাদের পাশেই দাঁড়াবে।
একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া গত এক দশক ধরে নিজেকে পরমাণু শক্তিধর দেশ করে তোলার দিকে জোর দিচ্ছে। কিম জং-উন (Kim Jong-un)-এর দেশ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষা করবে বলেও বিশ্ববাসীকে সতর্কবার্তা দিয়েছে রেখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তারা জোর দিচ্ছে বড়ো আয়তনের বোমা তৈরির দিকে, যা ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের (Intercontinental Ballistic Missile – ICBM) মাধ্যমে বহন করা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর জন্য।