কলকাতা: বীরভূমের রামপুরহাটের (Birbhum Rampurhat Clash) সুরেই রাজ্যকে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রামপুরহাটের ঘটনার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই আইনশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপালও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে রামপুরহাটের ঘটনার দ্রুত রিপোর্টও তলব করেছেন ধনখড়।টুইট বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজ্যে হিংসার সংস্কৃতি চলছে।’ রামপুরহাটের ঘটনাকে ‘ভয়ংকর হিংস’, ‘অগ্নিসংযোগের গণউন্মত্ততা’ হিসেবে আখ্যা দেন।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1506187657692340226?s=20&t=z8WLV5w7EKhhKgu2xdaPlg
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলি্ম এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করেন। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলছেন সরকার এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মৃতের সংখ্যা কম করে দেখানো হচ্ছে। শুভেন্দুর দাবি, রামপুরহাটের হিংসায় ২৬ জন মারা গিয়েছেন। যদিও রাজ্যপালের টুইটে রামপুরহাটে আট জনের মৃত্যুর কথাই বলা হয়েছে। সরকারি ভাবেও আট জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়। এর মধ্যে সাত জন সোনা শেখ ওরফে সঞ্জু শেখের পরিবারের সদস্য।
রামপুরহাটের হিংসার (Rampurhat TMC Leader Murder) জেরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ উঠলেও বিরোধী কোনও দলই মৃতদের তাদের সদস্য বা কর্মী বলে দাবি করেননি। রাজ্যের শাসকদলও এই খুনকে ‘রাজনৈতিক’ বলতে নারাজ। তবে, ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারেনি। রাজ্য পুলিসের কর্তাও এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যোগসূত্র দেখছেন না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রামপুরহাটের ঘটনায় ইতিমধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)গঠন করা হয়েছে। এডিজি-সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং ছাড়াও তিন সদস্যের সিটে রয়েছেন মীরজ খালিদ ও ভরতলাল মীনা।
আরও পড়ুন Rampurhat Violence: ভাদুর দাদা খুনেও পুলিস কিছু করেনি, ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা
বিজেপি-র তরফে ইতিমধ্যে রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপেরও দাবি করা হয়। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, গত একসপ্তাহে রাজ্যে ১৬ জন খুন হয়েছে। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘কেন্দ্র ৩৫৬ ধারা জারি করবে নাকি ৩৫৫ করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা হাতে নেবে, তা তারাই ঠিক করবে। আমরা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই।’ শুভেন্দু জানান, রাজ্যপাল এই মুহূ্র্তে দার্জিলিঙে রয়েছেন। বিকেলে কনফারেন্স কলে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর কথা হবে। রাজ্যপাল যাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সুপারিশ করেন, সেই আর্জি জানাবেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন Akhilesh Yadav: সাংসদ পদে ইস্তফা ‘কারহালের বিধায়ক’ অখিলেশ যাদবের