নয়াদিল্লি: শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ যখন তুঙ্গে, ঠিক তখন আগামিকাল, বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে আজ, বুধবার প্রথামাফিক হবে সর্বদলীয় বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অনুপস্থিতিতেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ ও পাশ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারপক্ষের। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ খারিজ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারি, মণিপুর সমস্যা, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, দিল্লি অর্ডিন্যান্স, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সরকারকে চেপে ধরবে বিরোধীরা। বিশেষত মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু বৈঠকের সাফল্যের পর সংসদে চাপের মুখে থাকবে মোদির বিজেপি।
মঙ্গলবারই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু, একদিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের এবং অন্যদিকে রাজধানীতে এনডিএ-র বৈঠকের কারণে অনেক সদস্য অনুপস্থিত থাকায় সেই আলোচনা সম্ভব হয়নি। সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠীর শিবসেনাকে ডাকা হয়নি। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সব দলের কাছে ফলপ্রসূ আলোচনা করার উপর জোর দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আগামী ১১ অগাস্ট পর্যন্ত বাদল অধিবেশন চলবে।
আরও পড়ুন: TMC Team | Manipur | মণিপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল, পাঁচ সদস্য ঘুরে দেখবেন এলাকা
সংসদের নতুন ভবনে বসতে চলা বাদল অধিবেশনে মোট ১৫টি কার্যদিবস থাকবে। লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানা গিয়েছে, ২১টি নতুন বিল এবং ৭টি বিল আলোচনার জন্য উঠে আসবে। সব মিলিয়ে দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আগামিকাল থেকে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর প্রয়াত সদস্য-নেতাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সভা মুলতুবি হয়ে যাবে। তার পরদিনই সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে রাহুল গান্ধীর মোদি পদবি বিতর্ক মামলার শুনানি। কংগ্রেস এখন অধীর আগ্রহে সর্বোচ্চ আদালতের মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।