মায়ানমার (Myanmar) জেলবন্দি বিদেশিদের মুক্তি দেওয়ার পর শুক্রবারই নিজের দেশে ফিরলেন তাঁরা। চার বিদেশি বন্দির মধ্যে রয়েছেন এক অস্ট্রেলীয় অর্থনীতিবিদ ও এক প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতও। ২০২১ সালে ফ্রেব্রুয়ারিতে সেনা অভিযানে (February 2021 coup) আং সান সু চি-কে (Aung San Suu Kyi) আটক করার সঙ্গে সঙ্গেই এঁদেরও গ্রেফতার করে জেলে পোরে জুন্টা (Junta) সরকার। বৃহস্পতিবার জাতীয় দিব উপলক্ষে মোট ৬ হাজার বন্দিকে (prisoners) মুক্তি দেয় মায়ানমার সরকার। তাঁদের মধ্যে ৬০০ জন মহিলাও রয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ৫৮ বছর বয়সি সঁ টারনেল আং সান সু চি-র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন। মুক্তির পর শুক্রবার সকালে তিনি মেলবোর্ন বিমানবন্দরে এসে নামেন। তাঁর স্ত্রী হা ভু সোশাল মিডিয়ায় দুজনের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, সে এখন এখানে। একইভাবে জাপানি সাংবাদিক তোরু কুবোতাও এদিন সকালে টোকিও বিমানবন্দরে নামেন।
আরও পড়ুন: WC 2022: বিশ্বকাপে পাকিস্তান থেকে ভাড়া করা সমর্থকরা কাতারে পাচ্ছেন দিনে ৩ ডলার!
২৬ বছরে কুবোতাকে ইয়াঙ্গনে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী সমাবেশের ছবি ও খবর করার সময় গ্রেফতার করা হয়। দেশে ফিরেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়েছি, এর জন্য জাপানের মানুষকে তিনি ধন্যবাদ জানান। আমার মুক্তির জন্য জাপ সরকার ও দেশের সংবাদমাধ্যম যা করেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান সকলকে।
মায়ানমারস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান বৃহস্পতিবার রাতেই ব্যাঙ্কক থেকে দেশে ফেরার বিমান ধরেন। মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। অভিভাসন আইনে তাঁকে ও তাঁর স্বামী প্রখ্যাত শিল্পী হিতেয়েন লিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভিকিকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাঁর স্বামীকে জেল থেকে ছাড়া হয়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। চতুর্থজন হলেন মার্কিন-মায়ানমার নাগরিক কিয়োও তে উ তাইল্যান্ডে ফিরে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তিনি খুব খুশি।
বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গনের (Yangon) ইনসেন জেলের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সকলেরই মনে আশা ছিল, তাঁদের ঘরের মানুষটি ছাড়া পাচ্ছেন কিনা জানতে। রাজনৈতিক বন্দিমুক্তির মধ্যে সু চি সরকারের তিন প্রাক্তন মন্ত্রীও রয়েছেন।