মালদহ: আজ কী দিন জানেন? থাক একটু কিছুক্ষণ সাসপেন্সে থাকুন। কারণ, এদিনটার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ছোটবেলা। কখনও সহপাঠী সাদা জামায় কালি ছিটিয়ে দেওয়া। কখনও হারিয়ে ফেলা, কুড়িয়ে পাওয়া, উপহার দেওয়া। আবার কখনও দুষ্টুমি করে লুকিয়ে রাখা। যা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড, হাতাহাতিও করেছেন বহুবার। হ্যাঁ, এবার ঠিক ধরতে পেরেছেন। আজ, শুক্রবার ৪ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক ফাউন্টেন পেন ডে। ‘বঙ্গলিপি’র দেশে যে পেনকে একটি কোম্পানি ঝরনা কলম নামে বেশি পরিচয় দিয়েছেন।
মালদহ শহরের গ্রিন পার্ক এলাকার বাসিন্দা পেশায় গ্রন্থাগার কর্মী সুবীরকুমার সাহা প্রায় ৩০ বছর ধরে সংগ্রহ করেছেন হাজারেরও বেশি ধরনের কলম। তাঁর ঘর যেন একটি সংগ্রহশালা। খাগের কলম, পাখির পালকের কলম, ফাউন্টেন পেন, সোনা, রুপো, তামা, পাথর, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে তৈরি পেন সংগ্রহ করেছেন তিনি। দেশ-বিদেশ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পেন সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: Delhi Air Pollution: দূষণের বিষ রাজধানীতে, নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডায় স্কুল বন্ধের নির্দেশ
শুধু তাই নয়, কোন কোন দেশে, কী ধরনের পেন, কে আবিষ্কার করেছেন তাও লিপিবদ্ধ রয়েছে তাঁর কাছে। সুবীরবাবু বলেন, প্রথমে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য গুহার গায়ে পাথরের আঁচড় দিয়ে লিখত। এরপর খাগের কলম, পাখির পালকের কলম এরপর নিপ পেনের ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বলপেন পাওয়া যায়। ইতিহাস লেখা হয়েছে পেন দিয়ে। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে পেনের ব্যবহার প্রায় লুপ্ত।
ঘরের মেঝেতে তাঁর ৩০ বছরের সংগ্রহ প্রদর্শনী করে ফাউন্টেন পেন ডে পালন করেন তিনি। আগামী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে চান, কত ধরনের পেন সংগ্রহ করেছেন তিনি। দোয়াতের কালিতে পাখির পালক দিয়ে তৈরি পেন চুবিয়ে কাগজের উপর ফাউন্টেন পেন ডে লেখেন সুবীরবাবু। কলমের সুদীর্ঘ অতীতকে এভাবেই বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।