কলকাতা: আমি নির্দোষ, জেলবন্দি দশা থেকে মুক্তি পেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে কাতর আবেদন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। সোমবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সোমবার মামলার শুনানিতে বিচারক ৭ ই আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন আদালত থেকে বের হওয়ার সময় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
এদিন পার্থ বলেন, আমি চাই অবিলম্বে জেল থেকে বেরতে। মুক্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করব। এক বছর বিনা বিচারে আছি। আমায় জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে গেলে যে লেবেল প্লেয়িংফিল্ড দরকার আমি সেটা চাই , আমি নির্দোষ। আমি নিয়োগ কর্তা নই আমি সুপারিশ কর্তা নই, আমি কোন ব্যাপারে সঙ্গে ছিলাম না, কে কি বলছে আমার জানার দরকার নেই। যখন চাকরি দেওয়া হয়েছে তখন আমি শিল্পমন্ত্রী, এরপর উনার সময় কত চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং ৫২টা ইউনিভার্সিটি হয়েছে বলেন।
তিনি আরও বলেন, অনেকে অনেক কথা বলে। অনেক কথা বলেই আজকে আমরা এক থেকে একশো এসেছি এটা ভুলে গেলে চলবে না। নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও অনেকে জেলের বাইরে আছেন। যাদের জেলে যাওয়া উচিত ছিল। বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। পার্থ ঘনিষ্ঠ মহলে বলেন, অনেকেই বাইরে আছেন। কিন্তু কে বা কারা সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: Ram Navami | রামনবমীতে হিংসার তদন্ত NIA-এর হাতেই থাকছে
টাকা প্রসঙ্গে আবারও দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া টাকা আমার না। বলেন, ওই টাকা কী আমার! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে টাকা আমার। এমন একজনও আছে যে আমাকে টাকা দিয়েছে। কেও দেখাতে পারবে যে আমি নিজে হাতে টাকা নিয়েছি। তাহলে কার টাকা প্রসঙ্গে বলেন সেটা ইডি বলতে পারবে কার টাকা। আমি নির্দোষ বলেন পার্থ। ২১ জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব তৃণমূল নেতৃত্বর মুখে একবারের জন্যও পার্থর নাম শোনা যায়নি। এই প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, নাম না নেওয়াই খুশিই হয়েছেন। কারণ এত বড় মঞ্চে নাম নিলে বিপদ হত। তবে দলের না উনার বিপদ সে সম্পর্কে কিছু বলেননি।
নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে এক বছর আগে গ্রেফতার হন পার্থ। গ্রেফতারির পর পার্থকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল তৃণমূল। দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে পার্থকে। মন্ত্রিসভা থেকেও সরানো হয়েছে তাঁকে।