কলকাতা: খোয়াই থানায় তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভের জের৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল ত্রিপুরা পুলিশ৷ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এই মামলা৷ মঙ্গলবার রাতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে খোয়াই থানার পুলিশ৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, আইনি পথে এর মোকাবিলা করা হবে৷ রাজনৈতিকভাবেও বিজেপিকে জবাব দেবে তৃণমূল৷
আরও পড়ুন: আর.জি.করে দফায় দফায় ছাত্র বিক্ষোভ,গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকেও হল না সমাধান
এফআইআরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও নাম রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ দোলা সেন, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, প্রকাশ দাস এবং ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের৷ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও অভব্য আচরণের জন্য মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷ গত সপ্তাহে কলকাতা থেকে আগরতলা গিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তের মত যুব তৃণমূল নেতারা৷ কিন্তু মহামারি আইন অমান্যের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷ নিয়ে আসে খোয়াই থানায়৷
এতেই গর্জে ওঠে তৃণমূল৷ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে৷ তোপ দেগে বলেন, ত্রিপুরায় কোনও গণতন্ত্র নেই৷ বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে৷ শাসনের আইন চলছে৷ তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের পরই দিন ত্রিপুরায় যান তিনি৷ বিমানবন্দর থেকে সটান পৌঁছন খোয়াই থানার৷ পুলিশ আধিকারিকদের কাছে জানতে চান, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের তরুণ নেতাদের৷ জানিয়ে দেন, তৃণমূল নেতাদের নিয়েই তিনি কলকাতা ফিরবেন৷ তাই থানায় ধর্নায় বসে পড়েন৷ অভিষেকের সঙ্গেই থানা ছিলেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ৷
Tripura: অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা, প্রকাশদার বিরুদ্ধে IPC 186/34 ধারায় নিজের থেকে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ।
ভয় পেয়েছে বিজেপি। pic.twitter.com/QHLBbkZTAT— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2021
সেই ঘটনায় পুলিশ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ এফআইআরে বলা হয়েছে, খোয়াই থানায় এসে এসডিপিও রাজীব সূত্রধরকে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান তৃণমূল নেতারা৷ পুলিশের অভিযোগ, গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলা সত্ত্বেও তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন৷ তখন পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও চিৎকার চেঁচামেচি করেন৷ এই সমস্ত অভিযােগের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ৷