কলকাতা: কসবাকাণ্ডে শেষ পর্যন্ত বন্ধ ঘরের দরজা খোলা হল। দেবাঞ্জনের কসবার অফিসের গোপন ঘরে ছাপানো হত ভুয়ো নথি। লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ১ ঘণ্টা তল্লাশি করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তল্লাশিতে ব্যবহার করা হয় থ্রি ডি স্ক্যানার। ২৭ জুন দেবাঞ্জনের মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অভিযোগ, কসবার অফিসের একটি ঘরে তল্লাশি চালানোর সময় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেন দেবাঞ্জন। চাবি না পেয়ে ফিরতে হয় তদন্তকারী অফিসারদের। শনিবার দেবাঞ্জনের কসবার ওই অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের ‘জাল’ কি রাজভবনেও? প্রশ্ন তৃণমূলের
উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো রেজিস্টার, চাকরির দরখাস্ত ও ভিজিটর স্লিপ ও রাবার স্ট্যাম্প। তল্লাশির পর দেবাঞ্জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ব্যাগ। সেখানে বিএসএফের একটি ইউনিফর্ম উদ্ধার হয়েছে।শুক্রবার হাই কোর্টে দেওয়া হলফনামায় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, কোভিশিল্ড ও স্পুটনিক ভি-এই দুই করোনা টিকার স্টিকার ব্যবহার করে যে ভায়ালগুলি রাখা হয়েছিল, আসলে সেগুলি অন্য ওষুধের ভায়াল। মিশ্রনগুলি নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। টিকার মধ্যে সিলভার ব্যাজ পাওয়া গিয়েছে। বিএসএফ সেজে দেবাঞ্জন প্রতারণা করেছিল কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্ধান চালানো হচ্ছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, দেবাঞ্জনের সঙ্গে ভুয়ো কেলেঙ্কারিতে কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ মিললে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জালিয়াতির পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের টাকা তছরুপেও জড়িত দেবাঞ্জন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মোট ১০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মালিক ছিলেন দেবাঞ্জন। ৬ বছরে সেখানে কোটি কোটি টাকা জমিয়ে ছিলেন তিনি। ভুয়ো টিকাকাণ্ডে তদন্ত এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ জট খুলবে বলে অনুমান পুলিশের।