ইন্দোর: প্রতিদিন অঘটন হয় না। শুক্রবার সকালেও ইন্দোরে কোনও অঘটন ঘটেনি। এক ভারতীয় সমর্থকদের গ্রুপকে দেখা গেল মহাকাল মন্দির থেকে পুজো দিয়ে এসেছেন। কপালে তিলক। মাথায় লাল ফেট্টি। মুখে স্লোগান- ভারত মাতা কি জয়! কিন্তু কোথায় কী? যেটা ভবিতব্য ছিল সেটাই হল। প্রথম সেশনেই ম্যাচ শেষ। ভারতীয় উইকেটে ভারতের উপর দাদাগিরি স্মিথ-বাহিনীর। ইন্দোরের রেসকোর্স এলাকায় থাকা সবিতা সাভারকরের জন্মদিন আজ। স্টেডিয়াম থেকে বেরনোর সময় তিনি বললেন, আজ আর জন্মদিন পালন করবেন না।
নরেন্দ্র হিরওয়ানি গেটের সামনে এক অস্ট্রেলিয়ান টুরিস্ট গ্রুপকে চোখে পড়ল। তারা এক তালে ভিকট্রি কোরাস গাইছে। ভারতীয় মিডিয়াকে কাছে পেয়ে আওয়াজ দিল, আমেদাবাদেও আমরা জিতব। শুধুমাত্র একটি টেস্ট ম্যাচের ফলাফল সবকিছু বদলে দিল। ইন্দোর টেস্ট জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রবেশ অস্ট্রেলিয়ার।
ম্যাচের পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন সঞ্জয় জাগদালে সহ মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার কর্মকর্তারা। সঞ্জয় জাগদালেকে পিচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনার সঙ্গে পরে কথা বলছি। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অময় খুরেশিয়া বলেন, ইন্দোরে এ ধরনের উইকেট সত্যিই আশা করিনি।
আরও পড়ুন: আড়াই দিনেই শেষ হচ্ছে টেস্ট ম্যাচ, বিসিসিআইয়ের পিচ-নীতি কি সমর্থনযোগ্য?
সৈয়দ মুস্তাক আলির ছেলে গুলরেজ আলিও বলেন, ইন্দোরে এ ধরনের উইকেট দেখিনি। বিক্রম রাঠোর কিছুটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেন। বলেন, ভুলে যাবেন না ম্যাচটা ধর্মশালায় হওয়ার কথা ছিল। টেস্ট ক্রিকেটের উইকেট প্রস্তুতের জন্য খুব বেশি সময় কিন্তু পায়নি ইন্দোর।
এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি মজা নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া। সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিতের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, আপনি বলেছিলেন ইন্দোরে জিতলে আমেদাবাদে গ্রিন টপ উইকেটে খেলবেন। তাহলে কি এখন প্ল্যান চেঞ্জ? রোহিত হেসে বলেন, সবে তৃতীয় টেস্ট শেষ হয়েছে। এখনই কিছু ঠিক করিনি।
সূত্রের খবর, আইসিসি-র শাস্তির মুখে সম্ভবত পড়তে চলেছে ইন্দোর। এই জঘন্য উইকেট নিয়ে ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলেছেন কিছু প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারও। জল যে অনেকদূর গড়াবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। সবশেষে একটা কথাই বলার- যত কাণ্ড ইন্দোরে!