নয়াদিল্লি: কর্মী ছাঁটাইয়ের (Mass Layoffs) পর এবার ভারতের (India) টুইটার অফিস (Twitter Offices) বন্ধ করলেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। ভারতের কর্মচারীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে তিনটি অফিস রয়েছে টুইটারের। তার মধ্যে দুটিতে ঝাঁপ ফেলতে চলেছেন মাস্ক। ২০২২ সালে গণছাঁটাইয়ের পর এটাও তাঁর এক বড় সিদ্ধান্ত। ভারতে একমাত্র বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) অফিসটি খোলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ওই অফিসে অধিকাংশই ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেন।
অতীতে মাস্ক ভারতে কর্মরত ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ২০০-র বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছেন। এবার দিল্লি (New Delhi) এবং মুম্বই (Mumbai) অফিসের ঝাঁপ বন্ধ করতে চলেছেন তিনি। সেখানকার কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দিয়ে ব্যয় সঙ্কোচনের রাস্তায় যাচ্ছেন টুইটার-মালিক।
আরও পড়ুন: Operation Dost: অপারেশন দোস্ত তুরস্ক থেকে দেশে ফিরল
প্রসঙ্গত, ভারত কেবলমাত্র একাই নয়, বিশ্বময় অসংখ্য অফিসের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছাঁটাই করা হয়েছে বহু কর্মীকে। কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারতের বাজারকে এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি।
উল্লেখ্য, মাস্কের এই গণছাঁটাইয়ের পর থেকে টুইটারও সেভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ, মাস্ক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি এই বছরের শেষাশেষি কোম্পানিকে একটা লাভজনক পরিস্থিতির মুখে আনতে পারবেন। সেই কারণেই এত ব্যয় সঙ্কোচের পথে চলেছেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের।
শুধুমাত্র অপারেশনে প্রভাব পড়েছে তাই নয়, টুইটার তার সান ফ্রানসিস্কো এবং লন্ডনের অফিসের ভাড়া দিতে পারছে না। এই বাবদ কয়েক লক্ষ ডলার বকেয়া পড়ে গিয়েছে। যার ফলে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে টুইটারকে। সেই সব খরচ মেটাতে কিছুদিন আগে বহু সম্পত্তি নিলাম ডেকে বেচে দিতে হয়েছে মাস্ককে।
এই অবস্থায় মাস্ক এও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, টুইটার দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। তাঁর কথাতেই সূত্র জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনদাতারা ধীরে ধীরে টুইটারকে পরিত্যাগ করছে। কারণ, যেসব বিষয় আসার কথা নয়, দেখভালের অভাবে সেসব বিষয়ও টুইটারে ঢুকে পড়ছে। এর জন্য বাছাই করার যে ব্যবস্থা থাকে, তাতে ব্যর্থ হচ্ছে কোম্পানি। সে কারণে বহু বিজ্ঞাপনদাতা হাত গুটিয়ে নিচ্ছে।