নিউ ইয়র্ক: টুইটার (Twitter) কেনার পর দুই দফায় কর্মীদের গণছাঁটাই (Mass Lay-Off) করেছেন এলন মাস্ক (Elon Musk), তারপরেই আবার কয়েকজনকে ফিরে আসতে বলেন। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়েছে। এদিকে, মাস্ক আগে থেকেই টুইটার কর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, যিনি সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ না করতে পারবেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন। তারপরই গণইস্তফা টুইটারে। সেই ঘটনার একদিন পরই কর্মীদের উদ্দেশে ফের জরুরি বার্তা (SOS Message) দিয়েছেন। সেখানে কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারদের তিনি লিখেছেন, যাঁরা সফটওয়্যার লেখার কাজ করেন, অনুগ্রহ করে তাঁরা আজকে ২টোর মধ্যে দশ তলায় এসে হাজির হবেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশে মাস্ক ইমেইলে আরও লিখেছেন, সান ফ্রান্সিস্কোর অফিসে সবাইকে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। একমাত্র তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে, যাঁদের শারীরিকভাবে অক্ষম কিংবা পরিবারে জরুরি সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া কারও কোনও অজুহাত শোনা হবে না।
টুইটার কর্ণধার সংস্থার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের (Software Engineers) নির্দেশ দিয়েছেন, গত ছয় মাসে তাঁরা কোডিংয়ের (Coding) ক্ষেত্রে যে কৃতিত্ব করে দেখিয়েছেন, তা বুলেট-পয়েন্ট সামারি করে লিখে আনতে হবে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলির ১০টি স্ক্রিনশটও আনতে হবে সঙ্গে। কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তাও দিয়েছেন, বৈঠক ছোট হবে।
আরও পড়ুন: Hatyapuri Feluda Teaser: ‘হত্যাপুরী’তে ফেলুদা ফিরছে, প্রকাশ্যে টিজার
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার টুইটারে ১২০০ জন কর্মী গণইস্তফা দিয়েছে মাস্কের সাম্প্রতিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে। মাস্ক বলেছিলেন, হয় কঠিন ওয়ার্কিং আওয়ার বেছে নিন, আর নাহলে চাকরি ছেড়ে দিন। প্রতিবাদে গণইস্তফা জমা দেওয়ার পরপরই টুইটারের একাধিক অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরই মাস্ক মেইল করে ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে পাঠান এলন। তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কর্মীরা ধন্দে ছিলেন, কার কার্ডের অ্যাক্সেস রয়েছে, আর কার কার্ডের অ্যাক্সেস নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক টুইটার কিনেছেন। কোম্পানির মোট কর্মী সংখ্যা একমাসে ৭,৫০০ থেকে তার অর্ধেকেরও নিচে নামিয়ে এনেছেন তিনি। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Wok From Home) সুবিধা তুলে দিয়েছেন, দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলতে গেলে টুইটারের কর্মসংস্কৃতি এবং পন্থা একেবারে বদলে ফেলেছেন। মাস্কের যুক্তি তিনি টুইটারকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচাতেই এই সমস্ত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন।