ফের টুইটার অ্যাকাউন্টে স্বমহিমায় ফিরে এলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ( এযাবৎ কালের সব থেকে বর্ণময় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের (Former President of USA) টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সংস্থার মালিকানায় বদল আসার পরেই। শনিবারই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন টুইটারের নতুন কর্ণধার এলন মাস্ক। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী ফিরে এল প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট।
অবশ্য ট্রাম্পকে টুইটারে ফেরানো উচিত হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একেবারে গণতান্ত্রিক পদ্ধধিতে টুইটার গ্রাহকদের মতামত চান এলন মাস্ক (Elon Musk)। এজন্য ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভোটাভুটিরও ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন টেসলা গোষ্ঠীর কর্ণধার। ওই ভোটের ফল অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ভোটের ফল জানার পরে টুইট করে মাস্ক লিখেছিলেন, “মানুষ তাদের মতামত জানিয়েছেন। ট্রাম্প আবার টুইটারে ফিরবেন।” সেই সঙ্গে ল্যাটিনে একটি শব্দবন্ধও লিখেছেন মাস্ক। যার নির্যাস, “আমজনতার মতামতই ঈশ্বরের স্বর।” তারপর সক্রিয় হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের পুরনো অ্যাকাউন্ট।
“ট্রাম্পকে কি টুইটারে ফিরিয়ে আনা উচিত?” ঠিক এই প্রশ্ন তুলে টুইটারে (Twitter Account) শনিবার ভোটাভুটি চালু করেছিলেন মাস্ক। অংশগ্রহণকারীরা তাতে “হ্যাঁ” অথবা “না”-লিখে তাঁদের জবাব দিতে পারতেন। ভোটাভুটির শেষে অবশ্য দেখা যায়, কোনওমতে ভোটে জিতে গিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫১.৮ শতাংশ মানুষ।
মাস্কের এই ভোটাভুটিতে সামিল হয়েছিলেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাপিটলে (USA Capitol) হামলার সঙ্গে জড়িত থাকা এবং হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে টুইটার থেকে স্থায়ীভাবে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অবশেষে এলন মাস্ক আসার পর টুইটারে আবার ফিরলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।