কলকাতা: ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তার সমস্ত তথ্য জেলাগুলির কাছে চেয়ে পাঠাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই সব তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদগুলিকে।
প্রাথমিকের টেটে নিয়োগ নিয়ে যে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার সিবিআই তদন্ত চলছে পুরোদমে। বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। তা নিয়ে মামলা হয়েছে। সেই তদন্তেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেহেতু এই নিয়োগে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তাই ইডিও তদন্ত করছে আলাদাভাবে। তারাই এই সব তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে।
আরও পড়ুন: Kolkata: রাম পিয়ারী রামের ছেলের মৃত্যুতে অবশেষে মুচিপাড়া থেকে ধৃত অভিযুক্ত চালক
২০১২ সাল থেকেই প্রাথমিকে নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ পর্যন্ত মোট তিনবার টেট পরীক্ষা হয়েছে তৃণমূল জমানায়। তিনটি নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় চলে রাজ্যে। এখনও তার রেশ চলছে। আদালতের নির্দেশে এই দুর্নীতির তদন্তে নেমেই ইডি গ্রেফতার করে পার্থকে। গ্রেফতার হয় আরও বেশ কয়েকজন। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ধৃত সকলের সঙ্গেই পার্থর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েই পার্থ বাহিনী নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে সিবিআই কর্তাদের দাবি। পার্থর সঙ্গেই গ্রেফতার তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার দুটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং বিপুল সোনার গয়না। নিয়োগের নামে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে লাখ লাখ ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সেই টাকাই ওই দুই ফ্ল্যাটে ছিল, এমনটাই দাবি দুই তদন্তকারী সংস্থার।