তাঁর আগের ঘোষণাকে সত্য প্রমান করে মঙ্গলবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিলেন, ২০২৪ সালে তিনি ফের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জো বাইডেন এখনও তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। রাজনৈতিক মহলের মতে মার্কিন মুলুকে যুযুধান দুই পক্ষ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নির্বিশেষে তিনিই প্রথম হেভিওয়েট প্রার্থী, যিনি পরের নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করলেন।
সম্প্রতি আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসে তাঁদের সমর্থনে ঝড় বইয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল ট্রাম্পের দল। কিন্তু অঙ্কের হিসাবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সেনেটের অধিকাংশ আসন ডেমোক্র্যাটদের হাতেই রয়ে গিয়েছে। তবে নিম্ন কক্ষ বা হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাটদের (Democrat) পিছনে ফেলে দিয়েছে রিপাবলিকানরা। যদিও ব্যবধান অত্যন্ত সামান্য।
ভোটের আগে নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা যা পূর্বাভাস করছিলেন রিপাবলিকানরা তার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেননি। আমেরিকার নির্বাচনী রাজনীতির ইতিহাস অবশ্য অন্য কথা বলছে। সাধারণত, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বেশ খানিকটা পিছিয়ে যায়। একইসঙ্গে জো বাইডেনের (Joe Biden) কাছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁর জনপ্রিয়তার রেখাচিত্রের নিম্নমুখী প্রবনতাকে আটকানো। মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিচ্ছে সেই চ্যালেঞ্জের তিনি খানিকটা হলেও মোকাবিলা করতে পেরেছেন।
আবার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যে রিপাবলিকান প্রার্থীরা দাবি করেছিলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাঁরাই জিতবেন, তেমন শতাধিক প্রার্থী এবার জয়ী হয়েছেন। ফলে ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাস যে বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু একইসঙ্গে ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বহু প্রার্থীই মধ্যবর্তী নির্বাচনে হেরেছেন। সেটাই নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখছে রিপাবলিকান (Republican) নেতৃত্বকে।
২০১৬ সালে নির্বাচনে জিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দখল নিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। তাঁর দীর্ঘ দিনের পরামর্শদাতা জেসন মিলারের দাবি, খোদ ট্রাম্প তাঁকে জানিয়েছিলেন, অবশ্যই তিনি প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে রয়েছেন। দেশকে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্যই ভোটে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। অবশেষে সে অনুমানে সিলমোহর দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।