মালদহ: টিকিট তুমি কার? স্বামী না স্ত্রীর ? এই নিয়ে লড়াই। স্ত্রী চাইছেন দলের টিকিট পাবেন তিনি। নাছোড়বান্দা স্বামীও। শেষমেষ শিকে ছিঁড়েছে স্বামীর। কিন্তু তাতেই ঘরোয়া বিবাদ শুরু হয়ে যায়। যে ঘটনায় শেষমেষ রণে ভঙ্গ দিলেন স্বামী। তৃণমূলের টিকিট নিয়ে শেষ দিন এটাও দেখতে হল জেলাবাসীকে। একই আসনে স্বামী ও স্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা করলেন তৃণমূলের হয়ে। দুই প্রার্থীই আবার নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে দাবি করলেন। মালদার (Maldah) কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের জেলা পরিষদের ৪৩নং আসনে এই দম্পতির মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব (TMC)।
তৃণমূল দলীয়ভাবে মালদার জেলা পরিষদের ৪৩নং আসনটির বৈষ্ণবনগর বিধানসভার (Baishnobnagar) বিধায়ক (MLA) চন্দনা সরকারের (Chandana Sarkar) স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম স্থির করা হয়। চন্দনা সরকার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়কের পাশাপাশি মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রয়েছেন। কালিয়াচক ৩নং ব্লকের ৪৩ নং আসনটি বিধায়কের স্বামী পরিতোষ সরকারের (Paritosh Sarkar) নাম স্থির করা হয়। এরপরই দম্পতির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ৪৩নং আসনটিতে প্রার্থী হতে দাবি জানাতে থাকেন বিধায়ক চন্দনা সরকার। জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানান। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব চন্দনা সরকারের দাবি নাকচ করে দেন। শুধু তাই নয় চন্দনা সরকারের স্বামী গৃহযুদ্ধ রুখতে প্রার্থীপদ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদনও করেন রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্বকে। কিন্তু দলীয়ভাবে সেই আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়। প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পরিতোষ সরকারকে। এরপরই এই দম্পতি একসঙ্গে জেলা শাসকের দফতরে এসে একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | নওদায় মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা
চন্দনা সরকার বলেন, রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে আজকে মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম। আমার স্বামী হার্টের রোগী তাই দাঁড়াতে চাইছেন না। দল এখন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার। পরিতোষ সরকারও অবশ্য চাপের মুখে জানিয়েছেন, কোনও ঘরের বিবাদ নাই। দল তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করুক। তিনি অভিজ্ঞ ওই কাজে।