কলকাতা: প্যারোলে ছাড়া মিলল না সারদা কাণ্ডে (Sarada Case) অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখ্যোপাধ্যায়ের (Devjani Mukherjee)। এজলাসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দেবযানী। দেবযানীকে ছাড়া হলে মানুষ কীভাবে সেটা দেখেবে সেটা ভাবা উচিত। এভাবে ছাড়া যাবে না মত বিচারকের। আদালতের হাতে কিছু নেই রাজ্য চাইলে ছাড়তে পারে দেবযানীকে। কারণ ওকে ছাড়লে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। দেবযানীকে প্যারোলে নিতে গেলে হাইকোর্ট এ যেতে হবে। না হলে আইপিসির ৬৩ নম্বর ধারার অন্তর্গত লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জেল সুপার প্যারোল দিতে পারে। সেক্ষেত্রে দেবযানীর নিরাপত্তা তাদের উপর বর্তায় জানালেন সিএমএম বিচারক।
গত ১৮ মে দেবযানীর প্যারোলের আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সেই আবেদন এ মান্যতা দেওয়া সিএমএম আদালতের হতে নেই বলেই জানালেন বিচারক।গত শুনানির পর বিভ্রান্তি ছড়ায় দেবযানীর পারল মঞ্জুর হয়ে গেছে বলে। এই নিয়ে বিচারকের ভৎসনার মুখে পড়তে হয় দেবযানীর আইনজীবীকে। এই ভুল খবর কিভাবে প্রকাশিত হল প্রশ্ন বিচারকের। আদালতে দুটি বিষয়ে সামনে আনেন বিচারক। দেবযানীর মানসিক অবস্থা ঠিক আছে কিনা না দেখে প্যারোল দেওয়া যাবে না। দুই মানুষ দেবযানীকে বাইরে দেখে কীভাবে আচণ করবে সেটা দেখতে হবে আগে। সেটা না জেনে এভাবে দেবযানীর ছাড়া যাবে না।
আরও পড়ুন: Amit Shah-Wrestler Meet | অমিত-কুস্তিগির বৈঠকেও সমাধান অধরা, কটাক্ষ সিব্বালের
মার অসুস্থতার জন্য চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলের আবেদন করেছিলেন দেবযানী মুখ্যোপাধ্যায়। সেই মতো জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর বাড়িতে যাওয়া জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রস্তুতু শুরু করে দিয়েছিলেন। সেই আবেদলন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়লেন দেবযানী। বললেন সারা বাংলার মানুষ বুঝতে পারছে তাকে কেনও প্যারোল দেওয়া হচ্ছে না।
সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) এবং অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখ্যোপাধ্যায়। সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই তাঁরা পালিয়ে যান। ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল সারদা মামলায় অভিযুক্ত সুদীপ্ত ও দেবযানীকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তার পর থেকে চলছে মামলার তদন্ত। এই মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, মন্ত্রীর নাম জড়ায়। তাদের মধ্যে অনেকেই সিবিআই কিংবা রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। এই কাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। এই মামলা কোথায় দাঁড়িয়ে, সে নিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। কিন্তু সুদীপ্ত বা দেবযানী কেউই জামিন পাননি।