পিয়ংইয়ং: বাইরের দুনিয়ায় প্রচারিত যে উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) কীভাবে মানুষ চুল কাটাবেন সেটাও ঠিক করে দেন শাসক কিম জং উন (kim Jong Un)। তার একচুল বাইরে গেলেই বিপদ। প্রতাপশালী আমেরিকার (US) প্রেসিডেন্ট হোক কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korea) রক্তচক্ষু ফুতকারে উড়িয়ে দেওয়া যার স্বভাব। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দেশ উত্তর কোরিয়ার শাসক প্রায়শই আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে থাকেন। তাঁর ব্যক্তিগত পরিবারের হালহকিকত জানতে পারে না কোনও মিডিয়া। এবার তিনিই প্রথম পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন তাঁর কন্যাকে। শনিবার ওই ছবি সামনে আসায় সারা দুনিয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সবাই ইঙ্গিত খুঁজছে, এর মাধ্যমে তিনি কোন বার্তা দিতে চাইছেন?
শুক্রবারই আন্তঃমহাদেশীয় (Inter Continental Ballistic Missile) ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছেন তিনি। তার আগে মেয়েকে নিয়ে ঘুরে দেখেন সেখানে। মাইকেল মেডেন নামে এক উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই প্রথম কন্যাকে তিনি সারা বিশ্বের কাছে পরিচয় করালেন। তবে তার নাম প্রকাশ্যে আনেননি। কিমের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওই মেয়েটির বয়স হবে ১২-১৩ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) ভর্তি হতে কিংবা মিলিটারিতে যোগ দিতে আরও অন্তত বছর পাঁচেক লাগবেই। এর মানে বোঝাচ্ছে, সে ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বে আসবে। কিংবা নেপথ্য নায়কের মতো আড়াল থেকে নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন কাতারের রঙীন বিশ্বকাপের আলোর নিচে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ছায়া
সীমান্ত এলাকায় আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। সম্প্রতি মহড়াকে কড়া জবাব দিতে সীমান্তের কাছেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। তারই মধ্যে এদিন কড়া সামরিক মনোভাবাপন্ন শাসকের এই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কিমের অবর্তমানে উত্তর কোরিয়ায় কে দায়িত্ব নেবে এই বিষয়ে তিনি কোনও ঘোষণা করে যাননি। তবে কী মেয়েকে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে চান?