দিল্লি: ফের দুশ্চিন্তায় ফেলছে করোনা (Corona)। চীন (China), জাপান (Japan), দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea), ফ্রান্স (France) সহ একাধিক দেশে আবারও সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। ভারতেও যে তার আঁচ পড়বে তা অবধারিত। ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ার হয়েছে কেন্দ্র (Union Government)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সমস্ত হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আবারও দেশবাসীকে মাস্ক পরার উপদেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার কেন্দ্রের তরফে বলা হল, এদেশে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হবে জানুয়ারি মাসে। আগামী ৪০টা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় সতর্ক থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Ministry) এক সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও দেখা গিয়েছিল সংক্রমণের ঢেউ পূর্ব এশিয়ায় আছড়ে পড়ার ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর ভারতে ধাক্কা দেয়। এটাই ট্রেন্ড। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক আকার নেবে না সংক্রমণ। যদি কোভিডের (Covid 19) নতুন ঢেউও আসে তবু হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম হবে।
আরও পড়ুন: Binay Tamang Leaves TMC: এক বছরেই শেষ ‘মধুচন্দ্রিমা’! তৃণমূল ছাড়লেন বিনয় তামাং
নতুন সংক্রমণের মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় (Mansukh Mandaviya) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন। প্রসঙ্গত, নতুন করে সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রনের বিএফ.৭ (Omicron BF.7) সাব ভ্যারিয়্যান্ট। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিমধ্যেই এই সাব ভ্যারিয়্যান্টের কারণে বিপুল হারে সংক্রমণ হচ্ছে। দেশ দুটির প্রশাসন যে কোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়ে আছে।
প্রস্তুত ভারতও। মঙ্গলবারই দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালে কেন্দ্রের নির্দেশ মক ড্রিল (Mock Drill) হয়েছে। বিমানবন্দরে (Airport) ফের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের (Thermal Screening) ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের আরটিপিসিআর (RTPCR) টেস্ট করানো হচ্ছে। গত দু’-তিন দিনে বেশ কিছু বিদেশি নাগরিকের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন।