চাকরি দেওয়ার নামে তোলাবাজি (Extortion)। আর সেই অভিযোগ শিল্পনগরী হলদিয়া পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে (Councillor) গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম প্রশান্ত দাস। অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের নির্দেশে সাংবাদিক বৈঠক করেন হলদিয়ার সিআই মানবেন্দ্রনাথ পাল। ধৃত প্রশান্ত দাস হলদিয়া পুরসভা (Haldia Municipality) প্রাক্তন পুরপ্রধান (Chairman) শ্যামল আদকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া ওই প্রাক্তন পুরপ্রধান পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক সমীকরণে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।
পুলিশ সূত্রের খবর, শিল্পনগরী হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকার একটি সংস্থায় জাহাঙ্গির হোসেন নামে এক শিক্ষিত যুবককে ভালো পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে চার লক্ষ টাকা চান প্রশান্ত দাস। অভিযোগ, তার মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকা অভিযুক্ত কাউন্সিলর নিয়েও নেন। কিন্তু যোগ্যতা অনুযায়ী ঠিক পদে চাকরি না দিয়ে ওই যুবককে লেবার পোস্টে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তখন জাহাঙ্গির হোসেন জানান তিনি বি টেক পাশ করেছেন। তাই তাঁকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া দরকার।
কিন্তু তার পরে কোনও সুরাহা না পেয়ে কয়েকদিন আগে হলদিয়া দুর্গাচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে দুর্গাচক থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা যায়, অভিযোগের কিছুটা সত্যতা রয়েছে। বুধবার সকালে প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রশান্ত দাসকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় দুর্গাচক থানার পুলিশ (WB Police) । এরপর তাঁর কথায় অসঙ্গতি দেখা দিলে অবশেষে অভিযুক্তকে (Accused) গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার প্রসঙ্গে সিআই মানবেন্দ্রনাথ পাল জানান, স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গির হোসেন বেশ কয়েকদিন আগে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাউন্সিলর প্রশান্ত দাসের বিরুদ্ধে। দুর্গাচক থানা তদন্তের পর জানতে পারে কিছুটা হলে অভিযোগে সত্যতা রয়েছে। বুধবার মামলা রুজু করে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের করা হয়। জেরায় বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দিলে তাঁকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। এলাকার বহু যুবকের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।