কলকাতা: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। দেশে (India) বাড়ছে নিত্য সংক্রমিতের (Infected) সংখ্যা। করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু হাজারের কোটা ছুঁইছুঁই।করোনা্র প্রকোপে মৃত্যুও হচ্ছে। একটা সময় যে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কার্যত শূন্যে নেমে এসেছিল, সেটাই ফের বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে অতিমারির প্রস্তুতি যাচাই করতে মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর ডিরেক্টর রাজীব বহলের তরফে, একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যগুলিকে করোনার বিষয়ে সতর্কবার্তা অবলম্বনের জন্য বলে হয়। সেখানেই হাসপাতালে হাসপাতালে মহড়া আয়োজনের কথাও জানানো হয়। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি কোভিডের মহড়া হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও।
আরও পড়ুন: Road Accident | দীঘা থেকে ফেরার পথে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা, আহত ২৭ যাত্রী
সূত্রের খবর, কোভিড মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, হাসপাতালের শয্যা, আইসিইউ (ICU), অক্সিজেন পরিষেবার মতো খুঁটিনাটি বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নেওয়া হবে। কোভিডের পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলির প্রস্তুতিও যাচাই করে দেখা হবে। হাসপাতালগুলিকে এখন থেকেই প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ৮৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৩৩। সংক্রমণের সংখ্যা অবশ্য শনিবারের চেয়ে কিছুটা কম। রবিবার দেশের করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতি রাশ টানতে আরও তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সতর্ক হওয়ার জন্য ৬ রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যদিও সেই তালিকায় নেই বাংলার।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ফের রাজ্যে করোনায় মৃত এক। নদিয়ার বাসিন্দার গোবিন্দ কুন্ডু শ্বাসজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে সেই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ওই রোগী।পরিবারের অভিযোগ, তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরেই অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত জন্য চাপ দিতে শুরু করে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকদের মতে, বাংলায় করোনা টেস্ট অনেক কম হচ্ছে, তাই আক্রান্তের সংখ্যাও কম ধরা পড়ছে। প্রায় দেড়শো দিনেরয় কাছাকাছি, বাংলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ল। যা আবারও ভয় ধরাচ্ছে আমজনতার মনে। যদিও চিকিৎসকের পক্ষ থেকে টিকাকরণের উপর নজর রাখা হয়েছে।