বালেশ্বর: শুক্রবার সন্ধ্যার আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেবাছে করমণ্ডলের চালক ও সহ চালককে। দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন চালক জে এন মোহান্তি (Coromandel Loco Pilot JN Mohanty) এবং সহকারী চালক এইচ বেহারা (Coromandel assistant Loco Pilot H Behara)। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ট্রেনের লোকো পাইলট এবং সহকারী লোকো পাইলট। দুজনই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সূত্রে খবর, চালকের বাঁ পায়ে চিড় ধড়েছে। তাঁর জ্ঞান রয়েছে। তবে মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত তিনি। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। সহকারী চালকের অবস্থা সঙ্কটজনক। তিনি আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ১৩০ কিলোমিটার বেগে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়িতে। মালগাড়ির ছাদের উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের(Coromandel Express Accident) ইঞ্জিন সহ বেশ কয়েকটি কামরা। লাইনচ্যুত হয়ে যায় ২১টি বগি। ডাউন লাইনে পড়া করমণ্ডলের কামরার সঙ্গে ধাক্কা লাগে ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের। দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধ্বংসের চিহ্ন। এখনও লাইনের ধারে পড়ে রয়েছে ট্রেনের যাত্রীদের ব্যবহৃত জিনিস পত্র। লাইনের ধারে রয়েগিয়েছে অভিশপ্ত কামরা গুলো। যারা প্রাণে বঁচে গিয়েছে তাদের সেই আতঙ্ক এখনও তারা করে বেরাছে।
আরও পড়ুন:Fourth Pillar | দেশ জানল মোদিজি নয়, দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব
কিন্তু এই সবের মাঝেই সেই বিভিষিকাময় সন্ধ্যের কথা ভুলতে পারছএন না করমণ্ডলের লোকো পাইলট ও সহকারী লোকো পাইলট। চোখের সামনে ভেসে উঠছে সেই দুর্ঘটনার ছবি। বাঁচার কামরা পালটি খাওয়ার শব্দ, অসহায় মানুষগুলোর আর্তনাদ। ভয়াবহতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা স্টেশন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার এবং সঙ্গে রেল লাইন ও ছিঁড়ে যাওয়া তার মেরামতির কাজে হাত লাগায় রেল। অবশেষে বরিবার রাতে পরীক্ষামূলক ভাহবে মালগাড়ি চালানো হয়েছিল। তারপর সোমবার সকাল থেকে অভিশপ্ত ওই লাইন দিয়ে ধীর গতিতে যাত্রিবাহী ট্রেন চলতে শুরু করেছে। রেলপথ ধরে এগিয়েছে পুরীগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার রাতে বাহানগায় সহকারি স্টেশন মাস্টারের দায়িত্বে ছিলেন এস বি মোহান্তি। এস বি মোহান্তি বলেন, ইন্টারলকিং এ কোনও সমস্যা ছিল না। প্যানেলে সমস্যা ছিল না। কীভাবে দুর্ঘটনা হল তা আমি জানি না। প্যানেলে কিছু নোটিশ হয়নি। আমার তরফ থেকে কোনও ভুল ছিল না। যা নিয়ম রয়েছে, তা অনুযায়ী কাজ হয়েছে। প্যানেলে অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি। সিগন্যাল যথাযথই ছিল। রেল বোর্ডের সদস্য (অপারেশন) জয়া বর্মা সিন্হা বলেছেন, ‘‘চালক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা ঠিক আগে আপ লাইন লাইনের সিগন্যাল সবুজ ছিল। তার পরেই গাড়ি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটে।