Placeholder canvas
কলকাতা বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
চিতার ধোঁয়াকে এখনও সন্ধ্যারতি ভাবছে প্রায় নিশ্চিহ্ন কংগ্রেস
কণাদ দাশগুপ্ত Published By: 
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২, ১০:৫২:৩২ এম
  • / ৮৬ বার খবরটি পড়া হয়েছে

গান্ধী পরিবারের কেউই আপাতত রাজি হচ্ছেন না কংগ্রেসের সভাপতি হতে৷ আর শুধুমাত্র এই কারণেই শতাব্দীপ্রাচীন এই দলটির সভাপতি নির্বাচনই অনির্দিষ্টকাল পিছিয়ে দেওয়া হলো৷ এর ফলে বাড়তি যে সময় পাওয়া গেলো, তা না’কি খরচ করা হবে রাহুল গান্ধীকে সভাপতির পদ নিতে ‘রাজি’ করানোর জন্য৷ তাই যতদিন না রাহুলবাবু রাজি হচ্ছেন, ততদিন সাংগঠনিক নির্বাচন করার কথা ভাবতেই রাজি নয় কংগ্রেস হাই কম্যাণ্ড৷

এমন বিচিত্র ঘটনা দেশের কোনও পরিবারতান্ত্রিক আঞ্চলিক দলের ক্ষেত্রেও ঘটেনি৷ অথচ অবলীলায় সেই বেনজির কাজ করে দেখালো ভারতের জাতীয় কংগ্রেস৷ গান্ধী পরিবারের বাইরে থাকা দলের বিবৃতিসর্বস্ব নেতারা চুপ থেকে মেনেও নিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত৷ ভাবখানা এমন যে গান্ধী পরিবারের কেউ একজন দলের সভাপতি হলেই কংগ্রেস ফের দেশের শাসন ক্ষমতায় ফিরবে৷ কেউ প্রশ্নও তুললেন না সেই ১৯৯৮ থেকে এই ২০২২ পর্যন্ত দলের সভাপতি পদটি রয়েছে গান্ধী পরিবারেরই দখলে৷ ২০১৭ থেকে ২০১৯, এই ২ বছর রাহুল গান্ধী সভাপতি ছিলেন, এ ছাড়া বাকি ২২ বছরই টানা দলের শীর্ষপদে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী৷ আর দীর্ঘ এই দু’যুগ ধরেই রোজ একটু একটু করে অস্তাচলের যাত্রী হয়েছে কংগ্রেস, কোনও গান্ধীই পতন ঠেকাতে পারেননি, পারছেনও না৷ তবুও কোনও ভ্যাকসিনই কংগ্রেসকে ‘গান্ধী-ফোবিয়া’ থেকে উদ্ধার করতে পারছে না৷ মুখাগ্নির আগুনকে এখনও যজ্ঞানল ভেবে চলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷

এদিকে একের পর এক শীর্ষনেতারা দল ছাড়ছেন৷ সেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে সাম্প্রতিক গুলাম নবি আজাদ৷ মাঝে কপিল সিব্বল, হার্দিক প্যাটেল থেকে সন্দীপ দীক্ষিত, সুনীল জাখর, হরিশ রাওয়াত, সুস্মিতা দেব’রা৷ ওয়েটিং লিস্টে জ্বল জ্বল করছে আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, মনীশ তিওয়ারির নাম৷ দল ছাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে প্রত্যেকেই রাহুল গান্ধীর অযোগ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন৷ গান্ধী পরিবার দলটিকে ‘দখল’ করে রেখেছে, এমন অভিযোগও করেছেন৷ তবুও  চৈতন্য হচ্ছে না জাতীয় কংগ্রেসের৷ একবারও ভাবছে না, কেন এই অভিযোগ ? অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবেই প্রতিটি নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ছে কংগ্রেস৷ দেশের রাজনৈতিক ক্যানভাস থেকে প্রায় উধাও হয়ে যাওয়া শতাব্দীপ্রাচীন এই দলে এখনও চলছে শুম্ভ-নিশুম্ভের লড়াই৷ দলের গ্রহণযোগ্যতা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে চিন্তা- ভাবনা করার ফুরসতই নেই শীর্ষ নেতৃত্বের৷  দলের অন্দরে বিপুল এনার্জি খরচ করে ক্ষমতা দখল করা বনাম ক্ষমতায় টিঁকে থাকার লড়াই চলছে৷ জনমানসে বিশ্বাসযোগ্যতা হারানো দলের তথাকথিত শীর্ষনেতারা এই এনার্জি যদি বিভিন্ন রাজ্যের ভোটে খরচ করতেন, তাহলে হয়তো  ফুটো পাত্র হাতে নিয়ে বার বার বাড়ি ফিরতে হতো না ভারতের জাতীয় কংগ্রেসকে৷

এই দলের ‘শালগ্রাম শিলা’ গান্ধী পরিবার৷ লাগাতার ব্যর্থতা প্রদর্শন করা সত্ত্বেও ওই শিলা’র আবাহনে খামতি নেই৷ স্রেফ আবেগের তাস খেলে গান্ধী-পরিবার আজও পদে টিঁকে থাকতে চেষ্টা করছে৷ পদযাত্রা জাতীয় সস্তার কিছু চমক দিয়ে দলের বিক্ষুব্ধদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন৷ অথচ চেয়ারপার্সন এবং তাঁর পরামর্শদাতারা বুঝতে পারছেন না, তাদের গ্রহণ করা প্রায় সব সিদ্ধান্তই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরছে৷ ইস্তফা পত্রে এই ক্ষোভই প্রকাশ করে ফেলেছেন গুলাম নবি আজাদ৷ গান্ধী পরিবারের দিকে তোপ দেগে কপিল সিব্বল,আজাদ-রা দাবি করেছেন, “আজ সময় এসেছে ‘ঘর কি কংগ্রেস’-এর বদলে ‘সব কি কংগ্রেস’ তৈরি হোক৷ গান্ধী পরিবার নেতৃত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াক। বারবার হার সত্ত্বেও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের দম্ভ দূর হচ্ছে না৷ এমনকী তাঁদের স্তাবকদের ভোলও বদলায়নি।”  অন্যদিকে, অশোক গেহলটদের মতো গান্ধী পরিবার -ঘনিষ্ঠ নেতারা বিক্ষুব্ধদের পাল্টা বিদ্ধ করে বলেছেন, “এই নেতারা ‘অকৃতজ্ঞ’,এরা বিজেপি- আরএসএসের ভাষায় কথা বলছেন”৷

তবে এটাও ঠিক, গান্ধী পরিবারের হাত থেকে জাতীয় কংগ্রেসকে বার করে আনলেই ভেন্টিলেশনে থাকা দলটি চনমনে হয়ে ডবলু ডবলু এফ খেলতে নেমে পড়বে, গুলাম নবি আজাদের এমন ধারনাও হাস্যকর৷  ইস্তফা পত্রে আজাদ বিস্তর বাণী দিয়েছেন৷ পাতালে তলিয়ে যাওয়া কংগ্রেসকে তুলে আনতে যেন বদ্ধপরিকর আজাদ৷  কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেই কাজে কতখানি যোগ্য এই গুলাম ?  কংগ্রেসের গ্রাসরুট স্তরে আজাদের গ্রহণযোগ্যতা কতখানি ? আমজনতার  ‘নেতা’ হিসেবে এই গুলাম নবি আজাদ খায়, না, মাথায় দেয় ? কংগ্রেসের দুর্বল সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে পারবেন তিনি, এমন উচ্চাশা আজাদের হঠাৎ কেন হলো ?  

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই আজাদ বিজেপির ব্রিফ নিয়েছেন৷ বিজেপি চাইছে কংগ্রেস মুছে যাক দেশ থেকে৷ গেরুয়া বাহিনী জানে গান্ধী-পরিবারের হাতে কংগ্রেসের স্টিয়ারিং থাকলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট তৈরি হলেও হতে পারে৷ তাই ভাঙ্গতে হবে কংগ্রেসকে৷ সম্ভবত সেই ব্রিফ নিয়েই আসরে নেমেছেন আজাদ এবং আরও অনেকে৷ লক্ষ্য একটাই, বিজেপির ‘স্বার্থ’ রক্ষা করতে পারলে এবং অবশ্যই ‘খুশি’ রাখতে পারলে, রাজ্যসভার একটি টিকিট মিলতে পারে৷ এই লোভেই ‘বিপ্লবী’ হচ্ছেন গুলাম নবি আজাদরা৷

মোটের উপর ভানুমতীর খেল চলছে জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে৷ সব পক্ষই লড়াইয়ে জয়ী হতে মরিয়া৷ ওদিকে দেশজুড়ে এখনও টিঁকে থাকা কংগ্রেস কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের গ্রাস করছে চরম হতাশা৷ এদের খবর কেউ রাখেনা৷ এআইসিসি আড়াআড়িভাবে এখন বিভক্ত৷ গান্ধী পরিবার এবং তাদের বিরোধী শিবির, দু’তরফই ভাবছে শেষপর্যন্ত তারাই জিতবেন৷ তারাই দলকে নেতৃত্ব দেবেন৷

দুই তরফই আজ চিতার ধোঁয়াকে  সন্ধ্যারতি ভাবছে৷ ওদিকে যে নীরবে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে কংগ্রেস, সে কথা কেউই রাখছে না৷

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team