দলটার নাম কংগ্রেস (Congress), আর গোষ্ঠী বিভাজন থাকবে না তা হয় নাকি? মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র (INTUC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ-বিতর্ক মেটাতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi)। কারণ অনেক ক্ষেত্রে গোষ্ঠী লড়াই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। আর এই বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমীকরণের (Factionalism) মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ খাতায়-কলমে শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি জি সঞ্জীব রেড্ডি-র অবস্থান। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যিনি অন্ধ্রপ্রদেশ আর তেলঙ্গানা রাজ্য থেকে আইএনটিইউসি-র সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (AICC) তরফে প্রকাশিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইএনটিইউসি-র মধ্যে চলা গোষ্ঠী বিরোধ ও সেই সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেন। কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আর দিগ্বিজয় সিং ছিলেন ওই কমিটির সদস্য। আইএনটিইউসি-র বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে নানা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক শাখায় (Labour Organisation) কোন গোষ্ঠীর অনুমোদন আছে তা খতিয়ে দেখে দুই সদস্যের খাড়গে কমিটি।
আর তার ভিত্তিতে ওই কমিটির সুপারিশে জি সঞ্জীব রেড্ডির গোষ্ঠীকে আইএনটিইউসি আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমোদন দেন কংগ্রেস সভাপতি। ওই সুপারিশে একইসঙ্গে জানানো হয়েছে দলের শ্রমিক সংগঠনের বিবদমান দুই শাখার নেতা জি সঞ্জীব রেড্ডি আর সি এস দুবে যেন নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সব সমস্যা মিটিয়ে নেন। পাশাপাশি দুপক্ষের মধ্যে চলা সমস্ত আইনি (Legal Battle) লড়াই থেকেও যেন নিজেদের সরিয়ে নেন দুই গোষ্ঠীর নেতারা।
খাড়গে কমিটির সুপারিশ ছিল দলের শ্রমিক সংগঠনের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখার জন্য যেন একটি তদারকি কমিটি গঠন করার। সেই সুপারিশও মেনে নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি (Committee) গঠন করা হয়েছে। যার আহ্বায়ক (Convenor) করা হয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ারকে। আপাতত ওই কমিটির ভরসাতেই দুই তরফের আকচাআকচি মেটাতে চাইছে ২৪, আকবর রোড। যত বিপর্যয় আসুক না কেন, নানা রাজ্যে দলের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা যতই সমস্যায় ফেলুক গোষ্ঠী বিভেদ কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন দলটির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। যা দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাই ঘটুক, কংগ্রেস আছে কংগ্রেসেই।