কলকাতা: শুরুটা মসৃণ হলেও পরে উপাচার্য নিয়োগ থেকে পঞ্চায়েত ভোট একাধিক ইস্যুতে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে রাজভবন-নবান্নের সংঘাত। এই সংঘাতের আবহে মঙ্গলবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সাক্ষাৎ সেরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, চা খেয়েছি। রাজ্যপালের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিন বিকেলেই রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। মমতা বলেন, শুধু দুধ চা খেয়েছি, বিস্কুট খায়নি। আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বিধানসভা অধিবেশন শুরু হয়েছে। বিধানসভায় বিল প্রায় হাতে নেই। তবুও নিয়ম মেনে বিধানসভা করতে হয়। ওনাকে বলে গেলাম দুটি বিল আনতে পারি। সেই দু’টি বিল নিয়ে কথা হয়েছে ওনার সঙ্গে। বিল দুটি পাশ করানো নিয়েও কথা হয়েছে। কী বিল, এ বিষয়ে তিনি বলেন, যত ক্ষণ বিল রাজ্যপাল পাশ না করাছেন, ততক্ষণ আমরা কিছু বলি না। এটাই নিয়ম। কারণ বিধানসভার কিছু বিষয় সিক্রেসি রয়েছে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জগদীপ ধনখড়ের পর কলকাতা রাজ্যপালের পদে দায়িত্ব নেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রথম থেকেই রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। রাজ্যপালের হাতেখড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। সময় যত এগিয়েছে তাল কেটে সুসম্পর্কে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় রাজ্যপাল। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংঘাত চরমে ওঠে। রাজ্যের জেলায় জেলায় যে হিংসার ছবি ধরা পড়েছিল তাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশেনর ভামিকা ক্ষুদ্ধ হন রাজ্যপাল। হিংসা উপদ্রুত এলাকার পরিদর্শনেও যান তিনি। রাজভবনে পিসরুমও খোলেন। ভোটের দিন তাকে বিভিন্ন বুথের পরিদর্শেন যেতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যপালে এহেন আচরণ ভালো ভাবে নেয়নি নবান্ন। এই সংঘাতের মাঝে এ দিন রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাক্ষাতের পর বেশ খোশমেজামে দেখা গেল মমতাকে।
